ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব' স্লোগানকে ধারণ করে চিন্তাচর্চা ও জ্ঞানের জন্য আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি এবং আবহমানকালের চিন্তা ও জ্ঞানের সাথে সংযোগ সাধনের লক্ষ্যে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল শিক্ষক ও ছাত্রের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়ন কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি 'ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর

প্র. এ সংগঠনের মুখপত্রের নাম কী ছিল?

উ. শিখা। এটি ১৯২৭ সালে আবুল হোসেনের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

প্র. শিখা পত্রিকার স্লোগান কী?

উ. 'জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব'।

প্র. 'বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন' কী? (৩৬তম বিসিএস লিখিত)

উ. ১৯২৬ সালে ঢাকায় 'ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ আন্দোলনের সূত্রপাত। ব্রিটিশ শাসনামলে মুসলমানেরা চিন্তা-চেতনায়, জ্ঞানে-গরিমায়, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে হিন্দুদের থেকে পিছিয়ে ছিল। এ অবস্থা থেকে মুসলিম সমাজকে জাগিয়ে তোলার জন্য কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হোসেন, কাজী মোতাহার হোসেন প্রমুখ ব্যক্তিগণ 'ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' এর মাধ্যমে যে আন্দোলন শুরু করেন, তাই বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন। ১৯২৭ সালে আবুল হোসেনের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয় 'শিখা' পত্রিকা। এ পত্রিকা প্রকাশের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বর্তমান মুসলমান সমাজের জীবন ও চিন্তাধারার গতির পরিবর্তন সাধন, যা বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য।

প্র. ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উ. ১৯১১ সালে 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমাজ' প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। কিন্তু এতে মুসলমানদের গুরুত্ব উপেক্ষিত হওয়ায় ১৯২৬ সালে ঢাকায় 'ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্র. ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ এর মাধ্যমে কোন আন্দোলনের সূত্রপাত হয়?

উ. বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন।

প্র. 'ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' এর প্রধান লেখক কারা ছিলেন?

উ. কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হোসেন, কাজী মোতাহার হোসেন প্রমুখ।

Reference: অগ্রদূত বাংলা