ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের পতন
১৯১৯-এর আগে ব্রিটেন ছিল সবদিক থেকে পৃথিবীর এক নম্বর সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। প্রথম মহাযুদ্ধের পর দেশটির অবক্ষয় শুরু হয় এবং দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর তার পতন ঘটে। একে একে হাত ছাড়া হতে থাকে উপনিবেশগুলো। ব্রিটেনের উল্লেখযোগ্য উপনিবেশগুলোর স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘটনাপঞ্জি -
পাকিস্তান ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে।
ভারত ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রথম সংবিধান কার্যকর হলে দেশটি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। ২৬ জানুয়ারি ভারতের 'প্রজাতন্ত্র দিবস'।
শ্রীলঙ্কা ১৯৪৮ সালে 'সিলন' নামে স্বাধীনতা পায়। ১৯৭২ সালে দেশটির নাম পরিবর্তন করে শ্রীলঙ্কা করা হয়।
মিয়ানমার ১৯৪৮ সালে 'বার্মা' নামে স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৮৯ সালে দেশটির নাম পরিবর্তন করে মিয়ানমার করা হয়।
ঘানা ১৯৫৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ গোল্ডকোস্ট ও পশ্চিমাঞ্চলীয় টগোল্যান্ড 'খানা' নাম ধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা আন্দোলনের স্থপতি ছিলেন ড. কোয়ামে নজুমা। তিনি ছিলেন ঘানার প্রথম রাষ্ট্রপতি।
মালয়েশিয়া ১৯৫৭ সালে টেংকু আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করে ।
সিঙ্গাপুর ১৯৫৯ সালে লি কুয়ানের নেতৃত্বে অভ্যন্তরীণ স্বশাসনক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের জোয়ালমুক্ত হয়। ১৯৬৩ সালে মালয়েশিয়া ফেডারেশনে যোগ দেয় সিঙ্গাপুর কিন্তু ফেডারেল সরকারের সঙ্গে ক্ষমতার ভাগাভাগি প্রশ্নে লি কুয়ানের অতিরিক্ত দর- কষাকষিতে কষ্ট হয়ে ২ বছরের মধ্যে তৎকালীন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী টেংকু আব্দুর রহমান পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত নিয়ে সিঙ্গাপুরকে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দেন। বাধ্য হয়ে ১৯৬৫ সালে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া থেকে পৃথক হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। লি কুয়ান ইউ। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দুই যুগের মধ্যেই তৃতীয় বিশ্বের দেশটি প্রথম বিশ্বের দেশে পরিণত হয়। লি কুয়ানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ "From third world to first"
তানজানিয়া ১৯৬১ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ 'ট্যাঙ্গানিকা' স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৬৩ সালে আরেক ব্রিটিশ কলোনি 'জাঞ্জিবার দ্বীপপুঞ্জ' স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬৪ সালে ট্যাঙ্গানিকা ও জাঞ্জিবার দ্বীপপুঞ্জ একীভূত হয়ে তানজানিয়া নাম ধারণ করে।স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ছিলেন জুলিয়াস নিরেরে।
উগান্ডা ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ।
কেনিয়া মাউ মাউ বিপ্লব (১৯৫২ ৬০ খ্রি.) এব ফলশ্রুতিতে ১৯৬৩ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
জিম্বাবুয়ের ১৯৮০ সালে ব্রিটিশ কলোনি 'দক্ষিণ রোডেশিয়া' স্বাধীন জিম্বাবুয়ে নামে আত্মপ্রকাশ করে। শ্বেতাঙ্গ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন রবার্ট মুগাবে। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ টানা ৩৭ বছর জিম্বাবুয়ে শাসন করেন রবার্ট মুগাবে। সময়ের পরিক্রমায় জাতীয় বীর থেকে একজন ক্ষমতালোভী দুর্নীতিপরায়ণ শাসকে পরিণত হন তিনি। অনিয়ম-দুর্নীতি এবং সাদা- কালোর দ্বন্দ্বে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে দেশটির অর্থনীতি। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে জিম্বাবুয়ের ডলার কার্যত মূল্যহীন হয়ে পড়ে। একটা সময় অবস্থা সামাল দিতে মিলিয়ন, বিলিয়ন, ট্রিলিয়ন ডলারের নোট ছাপাতে শুরু করে সরকার। এতে আরও অর্থনৈতিক ফাঁদে পড়ে জিম্বাবুয়ে। তবে আশার কথা হলো, ২০১৭ সালে মুগাবের পতনের পর জিম্বাবুয়ের অবস্থা আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ।
হংকং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই ব্রিটেন গণচীনের কাছে হংকং এর নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে এবং সেই থেকে অঞ্চলটি 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা (One Country, Two System) অনুসারে চীনের অধীনেই রয়েছে। হংকং এর অর্থনীতি এখনো পুঁজিবাদী যেখানে সমগ্র চীন অনুসরণ করে। কমিউনিজম। এই ব্যাবস্থার মেয়াদ ৫০ বছর অ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু থাকবে। হংকং ১৮৪২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫৬ বছর ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ১৮৪২ সালে সম্পাদিত 'নানকিং চুক্তি'র মাধ্যমে হংকং দ্বীপটি ব্রিটিশ কলোনিতে পরিণত হয়। উনিশ শতকে ব্রিটেনের মানুষ প্রচণ্ড রকমের চা পাগল হয়ে ওঠে। চা এর আদিবাস হলো চীন। আর ব্রিটিশদের প্রথম পছন্দই ছিল চীনা চা। চীনারা কেবল রৌপ্যের বিনিময়ে তাদের পণ্য বিক্রি করত। ফলে ব্রিটেনের প্রচুর রুপা চীনের কাছে চলে যায়। এটা বন্ধ করার জন্য ব্রিটিশ বণিকেরা ভারতে উৎপাদিত আফিম অবৈধভাবে চীনে পাচার করতে শুরু করে। এর বিনিময়ে তারা রুপা নিত। চীনা সরকার এই সর্বনাশা আফিমের ব্যবসা বন্ধ করার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেও কোন কার্যকরি ফল পায় নি। এমন পরিস্থিতিতে চীনের ক্যান্টন শহরের বিদেশি বাণিজ্য অঞ্চলে বেআইনিভাবে রক্ষিত বিপুল পরিমাণ আফিম জব্দ করে চীনা সরকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে যুদ্ধ লাগিয়ে দেয় ব্রিটিশরা। এই যুদ্ধ প্রথম আফিম বা প্রথম ইঙ্গ- চীন যুদ্ধ (১৮৩৯-৪২ খ্রি.) নামে পরিচিত। যুদ্ধে হেরে যায় চীনারা। হংকং দ্বীপটি ব্রিটিশ কলোনিতে পরিণত হয় এবং ব্রিটিশরা পুরো চীনে ব্যবসা করার অনুমতি লাভ করে। এভাবে প্রায় আধাশতক চলে যাওয়ার পর ১৮৯৮ সালে চীন ও ব্রিটেন সরকার আরেকটি সমঝোতায় আসে। ব্রিটেনকে ৯৯ বছরের জন্য হংকং ইজারা দেয় চীন ।
বার্বাডোস ১৯৬৬ সালে ব্রিটেনের নিকট হতে সার্বভৌমত্ব পায়। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ব্রিটিশ উপনিবেশ ছেড়ে সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে গিয়ে প্রজাতন্ত্র হিসেবে। আত্মপ্রকাশ করে ।
British Overseas Territories (BOTS)
১৪টি অঞ্চল নিয়ে গঠিত। অঞ্চলগুলি সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শেষ অবশিষ্টাংশ কিন্তু যুক্তরাজ্যের অংশ নয়। ব্রিটিশ রাজা/ রানি সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। স্ব-শানি সত অঞ্চলগুলির শুধু প্রতিরক্ষা এবং বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগ যুক্তরাজ্য ওপর ন্যস্ত। যেমন -
ফ্রান্স
ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর মধ্যে ব্রিটেনের পরেই অবস্থান ছিল ফ্রান্সের। প্রথম ও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ফ্রান্স ব্রিটেনের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লেবানন স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
ফরাসিরা ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওসকে সংযুক্ত করে ইন্দোচীন ইউনিয়ন বা ফরাসি ইন্দোচীন গঠন করে। ভিয়েতনামিজরা প্রথম ইন্দোচীন যুদ্ধে (১৯৪৬ - ৫৪ খ্রি.) লড়াই করে ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে। ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা ছিলেন হো চি মিন। তিনি আঙ্কেল হো নামেও পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা। ১৯৫৩ সালে কম্বোডিয়া ও লাওস (Lao People's Democratic Republic) স্বাধীনতা লাভ করে । ষাটের দশকে ফ্রান্সের আফ্রিকান উপনিবেশগুলো স্বাধীনতা অর্জন করতে থাকে।
১৯৬০ সেনেগাল, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, চাদ, গ্যাবন, বেনিন, বারকিনো ফাসো, নাইজার, মালি এবং মাদাগাস্কার ফ্রান্সের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত এ সকল দেশের রাষ্ট্রভাষা ফ্রেঞ্চ।
১৯৬২ আলজেরিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। আলজেরিয়া স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন আহমেদ বেন বেল্লা।
পর্তুগাল
----অ্যাঙ্গেলা ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর পরই কমুনিস্টপন্থী MPLA (People's Movement for the Liberation of Angola) এবং কমুনিস্ট বিরোধী গেরিলা সংগঠন UNITA (National Union for the Total Independence of Angola) এর মধ্যে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ২০০২ সালে এক বন্দুকযুদ্ধে ইউনিটার প্রধানের মৃত্যু হলে দুই পক্ষ একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এতে দীর্ঘ ২৭ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান হয়।
----মোজাম্বিক ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
----পূর্ব তিমুর ১৯৭৫ সালে পতুর্গিজ কলোনি 'পূর্ব তিমুর' স্বাধীনতা ঘোষণা করলে প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়া দ্বীপটি দখল করে নেয়। শুরু হয় স্বাধীনতাকামী দল ফ্রেটিলিনের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ। ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়া হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে পূর্ব তিমুর। প্রথম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা জানানা গুসামাও।
----ম্যাকাও ১৯৯৯ সালে পতুর্গাল গণচীনের নিকট 'ম্যাকাও' এর নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে। ম্যাকাও ছিল এশিয়া মহাদেশের সর্বশেষ ইউরোপীয় উপনিবেশ যা প্রায় দীর্ঘ ৪৪২ বছর (১৫৫৭ ১৯৯৯ খ্রি.) পতুর্গিজ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিল। বর্তমানে ম্যাকাও 'এক দেশ, দুই পদ্ধতি' তে পরিচালিত হয় - ২০৪৯ সাল পর্যন্ত এ পদ্ধতি চালু থাকবে।
পর্তুগালের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশসমূহে (অ্যাঙ্গোলা, মোজাম্বিক, পূর্ব তিমুর প্রভৃতি) পর্তুগিজ ভাষা প্রচলিত আছে।
স্পেন
ফিলিপাইনে স্পেনীয় উপনিবেশিকরণ শুরু হয় ১৫৬৫ সালে। স্পেনীয় শক্তি এখানে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে এবং বেশিরভাগ দ্বীপপুঞ্জ স্প্যানিশ শাসনের অধীনে আসে। ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্পেনকে বিতাড়িত করে ফিলিপাইন দখল করে নেয়। ১৯৪৬ সালে ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের নিকট থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। ফিলিপাইনের সুবিক বে তে মার্কিন নৌঘাঁটি ছিল। এটি ১৯৯১ সালে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয় ।
হল্যান্ড
সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমে হল্যান্ড ইন্দোনেশিয়া অধিকার করে। পরবর্তীতে উপনিবেশটি জাতীয়করণের মাধ্যমে নামকরণ করে 'ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ'। বিংশ শতাব্দীর গোড়া থেকে সেখানে সুকর্নের নেতৃত্বে ওলন্দাজ-বিরোধী জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। ১৯৪৯ সালে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। সুকর্ন ('বাংকর্ন' নামেও পরিচিত) হন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি।
বেলজিয়াম
১৯৬০ সালে স্বাধীনতা লাভ করে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন দেশটির স্বাধীনতার স্থপতি প্যাট্রিস লুমুম্বা ।
ইতালি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতালীয় উপনিবেশ ইরিত্রিয়াকে ইথিওপিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। কিন্তু ১৯৬০ এর দশকে ইরিত্রীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা স্বাধীনতার জন্য ইথিওপিয় সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। কয়েক দশকের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৯৩ সালে ইথিওপিয়া থেকে স্বাধীন হয়ে যায় ইরিত্রিয়া। যদিও ১৯৯৮ সালে ইথিওপিয়ার সঙ্গে ফের যুদ্ধে জড়ায় ইরিত্রিয়া। ২০০০ সালে সেই যুদ্ধ থামলেও উত্তেজনা জিইয়ে ছিল। প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দুই দশক ধরে চলা সংঘাত ও সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলী হাত ধরে। ফলে ক্ষমতায় আসার এক বছরের মাথায় ২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান আবি।
ইতালীয় সোমালিল্যান্ড ও ব্রিটিশ সোমালিল্যান্ড মিলিত হয়ে ১৯৬০ সালের ১ জুলাই স্বাধীন সোমালিয়া রাষ্ট্র গঠিত হয়। আল-শাবাব সোমালিয়ার একটি ইসলামপন্থি সংগঠন। সংগঠনটি সোমালিয়ায় ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও পশ্চিমা বিশ্বের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ।