প্রাচীন চৈনিক সভ্যতা

 প্রাচীন চৌনক সভ্যতা (The Ancient Chinese Civilization)

তিনটি অঞ্চলে প্রাচীন চৈনিক সভ্যতা বেড়ে উঠতে থাকে। প্রথমটি হোয়াংহো (অন্য নাম পীত বা হলুদ) নদীর তীরে, দ্বিতীয়টি ইয়াংজেকিয়াং নদীর তীরে আর তৃতীয়টি দক্ষিণ চীনে গড়ে উঠেছিল।

দর্শন: চীনের প্রাচীনতম দার্শনিক ছিলেন লাওৎসে। তাঁর মতবাদের নাম ছিল তাওবাদ। চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী দার্শনিক ছিলেন কনফুসিয়াস (৫৫১-৪৭৯ খ্রি.পূ.) কনফুসিয়াসের প্রধান অনুসারী ছিলেন মেনসিয়াস।

সুন সু (Sun Tzu) ছিলেন প্রাচীন চীনের একজন সমরনায়ক, যুদ্ধকৌশলী ও দার্শনিক। তাকে 'The Art of War (রণকৌশল) নামক যুদ্ধবিদ্যার প্রাচীন চৈনিক বইটির রচয়িতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

চীনের মহাপ্রাচীর (Great Wall of China) মনুষ্য নির্মিত সর্ববৃহৎ স্থাপনী। এটি চীনের উত্তর সীমান্তে অবস্থিত খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত চীনের বিভিন্ন রাজা এ প্রাচীরের বিভিন্ন অংশ নির্মাণ করে। চীনের মহাপ্রাচীরের মোট দৈর্ঘ্য ২১,১৯৬ কি.মি)। মিং রাজবংশের আমলে (১৩৬৮ - ১৬৪৪ খ্রি.) নির্মিত প্রাচীরের ৮৮৫০ কি. মি. (৫৫০০ মাইল) অংশকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

Reference: জর্জ MP3 আন্তর্জা‌তিক