বাস্তব সংখ্যা

Real number (বাস্তব সংখ্যা): ধনাত্মক সংখ্যা, ঋণাত্মক সংখ্যা এবং শূন্য (০) সবই বাস্তব সংখ্যা। যেমন: ১, ০, ১৫, -৯, ২/৩ সবই বাস্তব সংখ্যা।

Digit (অঙ্ক): হিসাব কিংবা গণনার কাজে ব্যবহৃত প্রতীক বা চিহ্নকে অঙ্ক বলে। অঙ্ক ২ প্রকার। যথা: সার্থক অঙ্ক ও সাহায্যকারী অঙ্ক।

  • সার্থক অঙ্ক: ১ থেকে ৯ পর্যন্ত।
  • সাহায্যকারী বা অভাবজ্ঞাপক: ০। ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, এই দশটি প্রতীক এক একটি অঙ্ক। অঙ্কগুলো সংখ্যা তৈরী করে। যেমন: ৫১২ একটি সংখ্যা যেখানে ৫, ১ এবং ২ এক একটি অঙ্ক। আবার ০ বাদে প্রতিটি অঙ্ক আলাদা করে লিখলে তা এক একটি পূর্ণ সংখ্যা হবে যেমন: ৫ একটি সংখ্যা আবার ২ এবং ১ ও একটি ভিন্ন সংখ্যা।

Integer (ইন্টিজার): অর্থ পূর্ণ সংখ্যা যে কোন পূর্ণ সংখ্যা ধনাত্মক বা ঋণাত্মক হতে পারে। যেমন: ১২, ২৫, -৪, -৩৬ ইত্যাদি। কিন্তু কোন ভগ্নাংশ অথবা দশমিক সংখ্যাকে ইনটিজার বা পূর্ণ সংখ্যা বলা যাবে না। যেমন: ৫/৮ বা ২/২ = ১ (পূর্ণ সংখ্যা), ২.৫, এবং ১.২৫৬ ইত্যাদি পূর্ণ সংখ্যা নয়।

Odd number (বিজোড় সংখ্যা): যেমন: ১, ৩, ৫।

Even number (জোড় সংখ্যা): যেমন: ২, ৪, ৬।

Consecutive Number (ধারাবাহিক সংখ্যা): ধারাবাহিক সংখ্যা হলো একটি সংখ্যার পরে আরেকটি সংখ্যা এবং সংখ্যাগুলোর মধ্যে একটি সুবিন্যাস্ত ব্যবধান যেমন: ১, ২, ৩, ৪... বা ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭। আবার ঋণাত্মক ক্রমিক ও হতে পারে, যেমন: ৫, -৪, -৩, -২, -১, ১, ২, ৩ ইত্যাদি।  

  • জোড় ক্রমিক: ২, ৪, ৬, ৮ বা ৮৮, ৯০, ৯২।
  • বিজোড় ক্রমিক: ১, ৩, ৫, ৭ বা ৫৫, ৫৭, ৫৯।

Divisible (বিভাজ্য): অর্থাৎ একটি সংখ্যাকে অন্য একটি সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে ভাগ করা গেলে বলা হয় সংখ্যাটি বিভাজ্য। যেমন: ৩৯ সংখ্যাটি ১৩ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য কেননা ৩৯ কে ১৩ দ্বারা ভাগ করলে কোন ভাগশেষ থাকবে না।

Factor (উৎপাদক): হলো একটি সংখ্যাকে যে সকল সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা যায়। যেমন: ১২ এর উৎপাদক হলো ১, ২, ৩, ৪, ৬, ১২ অর্থাৎ এই সংখ্যাগুলো দিয়ে ১২ কে ভাগ করা যায়। কিন্তু ৫, ১২ এর উৎপাদক নয়। কেননা ৫ দ্বারা ১২ কে ভাগ করা যায় না।

গুণিতক (Multiples): একটি সংখ্যার গুণিতক হলো সেই সংখ্যাকে অন্য সংখ্যা দিয়ে গুণ করে প্রাপ্ত সংখ্যা। যেমন: ১২ এর গুণিতকগুলো হলো ১২, ২৪, ৩৬, ইত্যাদি। অন্যভাবে বলা যায়, কোনো সংখ্যা অন্য সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য হলে, ভাজ্য সংখ্যাটি ভাজক সংখ্যার গুণিতক।

মৌলিক সংখ্যা (Prime Number): যে সকল সংখ্যাকে ১ এবং সেই সংখ্যা ছাড়া অন্য কোনো সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা যায় না, তাদের মৌলিক সংখ্যা বলে। যেমন: ২, ৩, ৫, ৭, ১১, ইত্যাদি। ১ মৌলিক সংখ্যা নয়।

পূর্ণবর্গ সংখ্যা (Perfect Square): যে সকল সংখ্যার বর্গমূল একটি পূর্ণ সংখ্যা, তাদের পূর্ণবর্গ সংখ্যা বলে। যেমন: ৯ (৩x৩), ১৬ (৪x৪), ২৫ (৫x৫), ইত্যাদি।

নিঃশেষে বিভাজ্য (Exactly Divisible): যখন একটি সংখ্যাকে অন্য একটি সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে কোনো ভাগশেষ থাকে না, তখন তাকে নিঃশেষে বিভাজ্য বলা হয়।

মনে রাখতে হবে:

  • একটি পূর্ণ সংখ্যা তিন ধরনের হতে পারে: ধনাত্মক, ঋণাত্মক ও শূন্য।
  • ১ মৌলিক বা যৌগিক কোনোটিই নয়। এটি প্রথম সংখ্যা এবং গণনার একক।
  • একটি পূর্ণ সংখ্যা ধনাত্মক বা ঋণাত্মক হতে পারে কিন্তু ভগ্নাংশ বা দশমিক সংখ্যা হবে না।

শূন্য (০) এর ধর্ম:

  • শূন্য একটি পূর্ণসংখ্যা (Integer)।
  • শূন্য নিরপেক্ষ (Neither positive nor negative)।
  • শূন্য একটি জোড় সংখ্যা (Even number)।
  • শূন্য সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন আর্যভট্ট।
  • শূন্য আবিষ্কার করেন ব্রহ্মগুপ্ত।

বাস্তব সংখ্যার শ্রেণিবিন্যাস:

  • বাস্তব সংখ্যা (Real Number) দুই ভাগে বিভক্ত: মূলদ সংখ্যা (Rational Number) ও অমূলদ সংখ্যা (Irrational Number)।
  • মূলদ সংখ্যাকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়: পূর্ণ সংখ্যা (Integer) ও ভগ্নাংশ (Fraction)।
  • পূর্ণ সংখ্যা তিন ভাগে বিভক্ত: ধনাত্মক সংখ্যা (Positive Number), শূন্য (Zero) ও ঋণাত্মক সংখ্যা (Negative Number)।
  • ধনাত্মক সংখ্যা তিন ভাগে বিভক্ত: মৌলিক সংখ্যা (Prime Number), এক (One) ও যৌগিক সংখ্যা (Composite Number)।
  • ভগ্নাংশ তিন ভাগে বিভক্ত: সাধারণ ভগ্নাংশ (Common Fraction), দশমিক ভগ্নাংশ (Decimal Fraction) ও মিশ্র ভগ্নাংশ (Mixed Fraction)।
  • দশমিক ভগ্নাংশ দুই ভাগে বিভক্ত: সসীম দশমিক (Terminating Decimal) ও অসীম আবৃত্ত দশমিক (Non-terminating Recurring Decimal)।
  • অমূলদ সংখ্যা হলো অসীম অনাবৃত্ত দশমিক (Non-terminating Non-recurring Decimal)।

জটিল সংখ্যা (Complex Number): ঋণাত্মক সংখ্যার বর্গমূলকে জটিল সংখ্যা বলা হয়। যেমন: √-1 = i, 5i+2 ইত্যাদি।

Reference: Khairul's BASIC MATH