বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়
- কোন রাষ্ট্রের মধ্যে অবস্থিত অন্য রাষ্ট্রের ভূ-খণ্ডকে ছিটমহল বলে।
- ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অবস্থিত মোট ছিটমহলের সংখ্যা ছিল ১৬২টি।
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ছিটমহল ছিল ১১১টি।
- ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল বিদ্যমান ছিল।
- ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিটমহলগুলো কুচবিহার অঞ্চলে অবস্থিত ছিল।
- ভারতের বেশিরভাগ ছিটমহলগুলো বাংলাদেশের লালমনিরহাট ও পঞ্চগড় জেলায় অবস্থিত ছিল।
- ১৬ মে ১৯৭৪ সালে নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
- ২৩ নভেম্বর ১৯৭৪ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে স্থলসীমান্ত চুক্তি/মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি সংবিধানের তৃতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে পাস হয় এবং চুক্তিটি ৬ জুন ২০১৫ সালে কার্যকর হয়।
- ভারতের সংবিধানে চুক্তিটি অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। ভারতীয় সংবিধানের ১০০ তম সংশোধনীর মাধ্যমে স্থলসীমান্ত চুক্তি পাস হয়।
- ৬ মে ২০১৫ সালে চুক্তিটি ভারতের রাজ্যসভায় এবং ৭ মে ২০১৫ সালে লোকসভায় সর্বসম্মতিতে পাস হয়।
- ৩১ জুলাই ২০১৫, মধ্যরাতে অর্থাৎ ১ আগস্ট ২০১৫ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় হয়।
- চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ অর্জন করে ১১১টি ছিটমহল। ভারত অর্জন করে ৫১টি ছিটমহল।
- দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ছিটমহল লালমনিরহাট জেলার অন্তর্গত ছিল।
- দহগ্রামের ছিটমহলের আয়তন ছিল ৩৫ বর্গমাইল।
- দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ছিটমহলের সাথে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হত তিনবিঘা করিডোর।
- তিনবিঘা করিডোরের আয়তন বা মাপ ১৭৮ মিটার ৮৫ মিটার।
- তিনবিঘা করিডোর লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর তীরে অবস্থিত।
- ২০১১ সালের ৬ মে ঢাকায় হাসিনা-মনমোহন বৈঠকে চুক্তি অনুসারে তিন বিঘা করিডোর বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
- তিনবিঘা করিডোরের বিনিময়ে বাংলাদেশ ভারতকে বেরুবাড়ী ছিটমহল হস্তান্তর করে। বেরুবাড়ী ছিটমহলের অবস্থান ছিল পঞ্চগড় জেলায়।