গুপ্ত সাম্রাজ্য

গুপ্ত সাম্রাজ্য

  • ৩২০ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • ভারতের ইতিহাসে গুপ্তযুগ সামগ্রিকভাবে 'স্বর্ণযুগ' হিসেবে খ্যাত। এ যুগে ভারতের কলা, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য এক অন্যান্য উচ্চতায় পৌঁছায়। এ যুগের ভাস্কর্যকে ধ্রুপদী ভাস্কর্য বলা হয়।
  • ৩২০-৩৪০ খ্রি. প্রথম চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন ভারতে গুপ্তবংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা।
  • সমুদ্রগুপ্ত (৩৪০-৩৮০ খ্রি.) ছিলেন গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা। তাঁকে 'প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ন' বলা হয়।
  • মৌর্যদের মতো এদেশে মহাস্থানগড়ের পুণ্ড্রনগর গুপ্তদের রাজধানী ছিল।
  • দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত (৩৮০-৪১৫ খ্রি.) সমুদ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেন।
  • অনেক প্রতিভাবান ও গুণী ব্যক্তি তার দরবারে সমবেত হয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে প্রধান নয়জনকে 'নবরত্ন' বলা হয়। যথা- কালিদাস, অমরসিংহ, বরাহমিহির প্রমুখ।
  • ৬ষ্ঠ শতকের প্রথমার্ধে ভারতে বিশাল গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।
  • দুর্ধর্ষ পাহাড়ি জাতি হুনদের আক্রমণের ফলে গুপ্ত শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
  • বিশাল গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর সমগ্র উত্তর ভারতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। সেই সুযোগে বাংলাদেশে দুইটি স্বাধীন রাজ্যের সৃষ্টি হয়।
  • স্বাধীন রাজ্যের একটি হলো বঙ্গ। এর অবস্থান ছিল দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম-বাংলার দক্ষিণাঞ্চলে।
  • গুপ্তযুগে চীনা পর্যটক ফা হিয়েন বাংলাদেশে আগমন করেন।
  • দ্বিতীয় রাজ্যের নাম গৌড়। বাংলার পশ্চিম ও উত্তর অংশে এর অবস্থান ছিল।
Reference: BCS CONCISE SERIES বাংলাদেশ বিষয়াবলী