জীনতত্ত্ব

জীনতত্ত্ব, যা জেনেটিক্স নামেও পরিচিত, জীবের বংশগতির ধারা এবং বৈশিষ্ট্যগুলি বিবেচনা করে থাকে। এটি মূলত ডিএনএ (ডিওক্সিরিবোনিউক্লিক অ্যাসিড) দ্বারা পরিচালিত হয়, যা জীবের জিনগত তথ্য সঞ্চয় এবং পরবর্তী প্রজন্মে সেগুলি সরবরাহ করে। গ্রেগর মেন্ডেল প্রাথমিকভাবে ১৯ শতকে জীনতত্ত্বের মূল ধারণাগুলি প্রতিষ্ঠা করেন, যার মাধ্যমে তিনি গাছপালার বংশগত বৈশিষ্ট্যগুলির হেরিডিটি প্যাটার্নগুলি বোঝাতে সক্ষম হন। জীনতত্ত্বের মাধ্যমে জীবের শারীরিক ও কার্যকরী বৈশিষ্ট্য যেমন চোখের রং, উচ্চতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি বংশগতির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মে চলে আসে। আধুনিক যুগে, ডিএনএ সিকোয়েন্সিং, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ক্রিসপার (CRISPR) প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা জিন পরিবর্তন এবং বংশগতির ওপর আরও গভীরভাবে কাজ করতে পারি, যা চিকিৎসা, কৃষি এবং অন্যান্য জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ব্যাপক অবদান রাখছে।

Reference: