সামরিক শাসন
মিয়ানমার: মিয়ানমারের সামরিক শাসনের মেয়াদকাল ছিল ১৯৬২ ২০১১ খ্রি.। সামরিক জান্তাদের অত্যাচারের প্রতীক হয়ে উঠেছিল ইয়াঙ্গুনের 'ইনসেন' কারাগার। মিয়ানমারের সামরিক জান্তারা বিরোধী রাজনৈতিক বন্দীদের এই কারাগারে আটক রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। দীর্ঘ সংগ্রামের পর ২০১৫ সালে মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে 'ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি' পার্লামেন্টের ৮০% আসন জয়লাভ করে। ২০১৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি NLD মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ২০২১ সালের ০১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে। সামরিক জান্তারা প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, অং সান সূচিসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করে দেশজুড়ে এক বছরের জন্য জরুরী অবস্থা জারি করে এবং ১১ সদস্যের State Administration Council (SAC) গঠন করে। শুরু হয় অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ। ১৬ এপ্রিল, ২০২১ সামরিক জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা গঠন করে জাতীয় ঐক্যের সরকার (National Unity Government-NUG)।
অং সান সু চি (১৯৪৫ -) রাজনৈতিক দল : ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি সম্মাননা : নোবেল পুরস্কার (শান্তি, ১৯৯১) যুক্তরাষ্ট্রের 'কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল' (২০০৮) জীবনীমূলক চলচ্চিত্র : The Lady; পরিচালক - লাক বেসন |
পাকিস্তান: পারভেজ মোশাররফ ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেন এবং ২০০১ সালের ২০ জুন পাকিস্তানের দশম রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেন। মোশাররফের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'In the line of Fire' (২০০৬ খ্রি.)।
পাক বংশোদ্ভূত মার্কিন শিল্পপতি মনসুর ইজাজ দাবি করেন, ২০১১ সালের মে মাসে তিনি একটি স্মারকলিপি বানিয়ে মার্কিন সেনাপ্রধান মাইক মুলেনকে দিয়েছিলেন। সেই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছিল,গোপনে অভ্যুত্থানের ছক কষছে পাক সেনাবাহিনী। তৎকালীন পাক-প্রেসিডেন্ট জারদারির নির্দেশে বানানো ওই মেমোতে পাক সেনার সম্ভাব্য অভ্যুত্থান ঠেকাতে আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন ফৌজের সাহায্যও প্রার্থনা করা হয়েছিল। এই স্মারক নিয়ে আবর্তিত ঘটনাবলি 'মেমোগেট কেলেঙ্কারি' নামে পরিচিত।