কোনো পদার্থের পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রনগুলো নির্দিষ্ট দূরত্বে বিভিন্ন খোলকে অবস্থান করে । পরমাণুতে কোনো শক্তি সরবরাহ করা হলে ইলেকট্রন এক খোলক থেকে লাফিয়ে অন্য খোলকে চলে যায়। পরে যখন ইলেকট্রনগুলো নিজ খোলকে ফিরে আসে তখন ইলেকট্রনের মধ্যে সঞ্চিত শক্তি বিকিরণ হয়। এই বিকিরিত শক্তিই আলো। শক্তি বিকিরণ তরঙ্গ আকারে ঘটে যা তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ। সব তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের বেগ শূন্য মাধ্যমে একই এবং তা সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার। সব তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের বেগ সমান হলেও এদের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বা কম্পাঙ্ক বিভিন্ন। আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অ্যাংস্ট্রম এককে পরিমাপ করা হয়। তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গগুলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ক্রম নিম্নরূপ :
গামা রশ্মি < রঞ্জন রশ্মি (X-ray) < অতিবেগুনি রশ্মি (Ultraviolet-ray) < দৃশ্যমান আলো (Visible light) < অবলোহিত রশ্মি (Infrared Ray) < মাইক্রোওয়েভ < বেতার তরঙ্গ (Radio wave)
কম্পাঙ্ক এবং তরঙ্গ দৈর্ঘ্য : যে চৌম্বক তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম তার কম্পাঙ্ক তত বেশি। গামা রশ্মির কম্পাঙ্ক সবচেয়ে বেশি এবং বেতার তরঙ্গের কম্পাঙ্ক সবচেয়ে কম।