তড়িৎ

তড়িৎ বা বিদ্যুৎ এক প্রকার শক্তি ।

১.স্থির তড়িৎ

২.চল তড়িৎ

স্বর্ণপাত তড়িত্বীক্ষণ যন্ত্র (Goldleaf Electroscope):

যে যন্ত্রের সাহায্যে কোনো বস্তুতে আধানের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি নির্ণয় করা যায়, তাকে তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র বলে। বেনেট নামক একজন ধর্মযাজক আধানের উপস্থিতি ও প্রকৃতি নির্ণয়ের জন্য এই তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র উদ্ভাবন করেন।

তড়িৎ আবেশ:

একটি আহিত বস্তুকে কোন পরিবাহকের নিকটে রেখে আহিত বস্তুর প্রভাবে পরিবাহকটি আহিত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ আবেশ বলে ।

তড়িৎ তীব্রতা বা প্রাবল্য:

আহিত বস্তুর চারদিকে যে অঞ্চলজুড়ে এর প্রভাব বিদ্যমান থাকে, তাকে তড়িৎ ক্ষেত্র বলে। তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে একটি একক ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে সেটি যে বল অনুভব করে তাইতড়িৎ প্রাবল্য । তড়িৎ প্রাবল্যের একক নিউটন/ কুলম্ব।

তড়িৎ বর্তনী:

তড়িৎ উৎসের ধনাত্মক প্রান্ত থেকে ঋণাত্মক প্রান্তে তড়িৎ প্রবাহের জন্য সম্পূর্ণ পথকে তড়িৎ বর্তনী বলে।

তড়িচ্চালক শক্তি (Electromotive Force): 

এক কুলম্ব চার্জকে কোষ সমেত কোন বর্তনীর এক বিন্দু হতে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে কাজ সম্পন্ন হয় অর্থাৎ তড়িৎ কোষে যে তড়িৎ শক্তি সরবরাহ করে, তাকে ঐ কোষের তড়িচ্চালক শক্তি বলে । তড়িচ্চালক শক্তির একক ভোল্ট। তড়িচ্চালক শক্তিকে সাধারণভাবে ভোল্টেজ বলা হয়। অর্থাৎ তড়িৎ বা বৈদ্যুতিক চাপের পরিমাণকে 'Voltage' বলে। আমাদের বাসা-বাড়িতে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের ভোল্টেজ ২২০ ভোল্ট এ.সি । 

বিভব পার্থক্য (Potential Difference)

বিভব হচ্ছে আহিত পরিবাহকের তড়িৎ অবস্থা যা নির্ধারণ করে ঐ পরিবাহকটিকে অন্য কোন পরিবাহকের সাথে পরিবাহক দ্বারা সংযুক্ত করলে তা আধান দেবে বা নেবে। একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎ ক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে সম্পন্ন কাজের পরিমাণকে দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য বলে । বিভব পার্থক্য পরিমাপ করা হয় ভোল্ট এককে। যে যন্ত্রের সাহায্যে বর্তনীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য সরাসরি ভোল্ট এককে পরিমাপ করা যায়, তাকে ভোল্টমিটার বলে । পৃথিবী একটি অতিকায় পরিবাহক। এটি ঋণাত্মক আধানের এক বিশাল ভাণ্ডার। এতে কিছু ইলেকট্রন এলে বা এ থেকে কিছু ইলেকট্রন চলে গেলে এর বিভবের তেমন কোন পরিবর্তন হয় না। তাই ভূমির বিভবকে আমরা শূন্য ধরি।

Reference: MP3 বিজ্ঞান