কোন পরিবাহক বা তড়িৎ যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে এক সেকেন্ড ধরে তড়িৎ প্রবাহের ফলে যে কাজ সম্পন্ন হয় বা যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি অন্য শক্তিতে (আলো, তাপ, যান্ত্রিক শক্তি ইত্যাদি) রূপান্তরিত হয়, তাকে তড়িৎ ক্ষমতা বা বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বলে। বৈদ্যুতিক ক্ষমতাকে P দ্বারা প্রকাশ করা হয়। করা হয়।
P=VI=IR = V2 / R
১ ওয়াট = ১ ভোল্ট × ১ অ্যাম্পিয়ার।
তড়িৎ ক্ষমতার একক ওয়াট (watt)। তড়িৎ ক্ষমতাকে কিলোওয়াট এবং মেগাওয়াট এককেও প্রকাশ করা হয়।
১ কিলোওয়াট ১০৩ ওয়াট ; ১ মেগাওয়াট = ১০৬ ওয়াট একই বিভব পার্থক্যের কোনো বৈদ্যুতিক বাতির হোল্ডারে ৪০ ওয়াট, ৬০ ওয়াট এবং ১০০ ওয়াটের তিনটি বাতি পরপর সংযোগ করলে দেখা যাবে উজ্জ্বলতার পার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে ১০০ ওয়াটের বাতির ক্ষমতা বেশি হওয়ার কারণে বাতিটি সবচেয়ে বেশি আলো বিকিরিত করবে।
তড়িৎ শক্তিঃ
কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে । বিদ্যুৎ শক্তির বাণিজ্যিক একক ‘কিলোওয়াট-ঘণ্টা' । এক কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র এক ঘণ্টা কাজ করলে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ শক্তি খরচ হয়, তাকে এক কিলোওয়াট-ঘণ্টা বলে। সারা বিশ্বের বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী সংস্থাগুলো এই একক ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিল প্রণয়ন করে । এ একককে বোর্ড অব ট্রেড ইউনিট বা সংক্ষেপে শুধু ইউনিটও বলে । অর্থাৎ বৈদ্যুতিক মিটারে ১ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ বলতে এক কিলোওয়াট ঘণ্টাকে বুঝায় ।
১ ইউনিট = ১ কিলোওয়াট – ঘণ্টা
= ৩৬০০ কিলোজুল = ১০০০ ওয়াট-ঘণ্টা = ৩.৬ × ১০৬ জুল।
বৈদ্যুতিক বিল কিলোওয়াট-ঘণ্টা (Kilowatt-hour) বা B.O.T এককে হিসাব করা হয়।
বাতিতে লেখা 220V - 60W এর অর্থঃ
220V বিভব পার্থক্যকে বাতিটি সংযুক্ত করলে বাতিটি সবচেয়ে বেশি আলো বিকিরণ করবে এবং প্রতি সেকেন্ডে 60 Joule হারে বৈদ্যুতিক শক্তি আলো ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হবে।