গলনালি, মুখবিবর, কণ্ঠ, জিভ, তালু, দাঁত, নাক প্রভৃতি প্রত্যঙ্গ দিয়ে মানুষ নানা রকম ধ্বনি তৈরি করে। এক বা একাধিক ধ্বনি দিয়ে তৈরি হয় শব্দ। শব্দের সমন্বয়ে বাক্য গঠিত হয়। বাক্য দিয়ে মানুষ মনের ভাব আদান-প্রদান করে। মনের ভাব প্রকাশক এসব বাক্যের সমষ্টিকে বলে ভাষা।
বাগযন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলে। ভাষা একদিকে মুখে বলার এবং অন্যদিকে কানে শোনার বিষয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাষাকে উঁচুনিচু করে তৈরি করার ও হাত দিয়ে অনুভব করার ব্রেইল ভাষা। আবার বাক্-প্রতিবন্ধীদের বোঝানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ইশারা ভাষা মানুষ তৈরি করেছে।
ভাষা ও ব্যাকরণের মধ্যে ভাষা আগে সৃষ্টি হয়েছে। জনগোষ্ঠী ভেদে বাক্যের গঠন আলাদা হয়, ভাষাও আলাদা হয়ে ওঠে।বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, বিহার, উড়িষ্যা ও আসামের কয়েকটি অঞ্চলের মানুষের ভাষা বাংলা। বাংলাদেশে জীবনের প্রায় সবক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যবহারের বিষয়টি সরকারিভাবে বাধ্যতামূলক। এছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা প্রদেশের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা বাংলা। মাতৃভাষী মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাংলা পৃথিবীর ৬ষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা। বাংলা ভাষার নিকটতম আত্মীয় অহমিয়া ও উড়িয়া। দ্রাবিড় ভাষা, সংস্কৃত এবং পালির সাথে বাংলা ভাষার রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।