কমনওয়েলথ অব নেশনস (Commonwealth o Nations)
(ক) প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
বেলফোর ঘোষণা, ১৯২৬: এর মাধ্যমে ইম্পেরিয়াল সম্মেলনে ব্রিটিশ কমনওয়েলথ অব ন্যাশনস ধারণার পত্তন হয়।
স্ট্যাটু অব ওয়েস্টমিনিস্টার, ১৯৩১: এটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদিত আইন। এর মাধ্যমে উপনিবেশগুলোর পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয় এবং কমনওয়েলথ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাতন্ত্র্য মর্যাদা পায়।
লন্ডন ঘোষণা, ১৯৪৯: কমনওয়েলথ নাম থেকে ব্রিটিশ কথাটি বাদ দেওয়া হয় এবং কমনওয়েলথ অব নেশনস প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
(খ) সদস্যপদ
ইংরেজ শাসন থেকে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশসমূহ কমনওয়েলথের সদস্য। ব্রিটেনের রানি হলেন কমনওয়েলথ এর প্রধান। মোজাম্বিক ও রুয়ান্ডা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত না হয়েও কমনওয়েলথভুক্ত দেশ। আবার যুক্তরাষ্ট্র, মায়ানমার প্রভৃতি দেশ ব্রিটিশ শাসনাধীন ছিল কিন্তু কমনওয়েলথভুক্ত নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা, গাম্বিয়া, পাকিস্তান, ফিজি এবং মালদ্বীপ কমনওয়েলথ ত্যাগ করেছিল আয়তনে কিন্তু পরবর্তীতে পুনরায় যোগদান করে।
প্রাক্তন সদস্য: আয়ারল্যান্ড (১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে) এবং জিম্বাবুয়ে (২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে) কমনওয়েলথ ত্যাগ করে।
(গ) সদর দপ্তর
মার্লবোরো হাউজ, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত।
(ঘ) মূলনীতি
মার্লবোরো হাউজ কমনওয়েলথের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সর্বসম্মতিক্রমে। সংগঠনটির কোন আনুষ্ঠানিক সংবিধান বা বিধি নেই।