আইনের প্রকারভেদ

আইনের প্রকারভেদ

 আইন সাধারণত তিন প্রকার। যথা- সরকারি আইন, বেসরকারি আইন এবং আন্তর্জাতিক আইন। এছাড়াও বহুবিধ আইনের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। যেমন-১) প্রকৃতির আইন ২) প্রাকৃতিক আইন ৩) প্রথাসিদ্ধ আইন ৪) প্রচলিত আইন ৫) নৈতিক আইন ১. ৬) সাংবিধানিক আইন ৭) সাধারণ আইন ৮) ন্যায়পরতা আইন ৯) প্রশাসনিক আইন ১০) উপ- বিধি আইন ১১) গণ আইন ১২) সামরিক আইন ১৩) সৈনিক আইন ১৪) রাষ্ট্রীয় আইন।

প্রাকৃতিক আইন: অধ্যাপক হল্যান্ড তাঁর 'The Elements of Jurisprudence' গ্রন্থে প্রাকৃতিক আইন সম্পর্কে বলেন, "যে আইন নৈতিকতার অংশ হিসেবে মানবজাতির স্বার্থে পরিচালিত হয়ে তাদের দায়িত্বসমূহ নিয়ে গবেষণা করে, তাকে প্রাকৃতিক আইন বলে। 'প্রাকৃতিক আইন' ধারণাটি সর্বপ্রথম প্রাচীন গ্রীক দর্শনে পাওয়া যায়। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলকে প্রায়শই 'প্রাকৃ তিক আইন' এর জনক বলা হয়ে থাকে। 'বাইবেল' এ প্রাকৃতিক আইন বিষয়ে উল্লেখ ছিল এবং পরবর্তীতে তা থেকেই মধ্যযুগীয় ক্যাথলিক দার্শনিক আলবার্ট দ্য গ্রেট, সেন্ট টমাস একুইনাস প্রমুখ এই আইনের বিকাশ ঘটান। একুইনাস এরিস্টটলীয় দর্শনের সঙ্গে খ্রিষ্টীয় ধর্মতত্ত্বের সমন্বয় সাধন করেন। হুগো গ্রোসিয়াস প্রাকৃতিক আইনের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তি স্থাপন করেন।

সাংবিধানিক আইন: রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের কিছু নির্দিষ্ট বিধি-বিধান বা আইন থাকে। এই বিধি-বিধানকে রাষ্ট্রের সংবিধান বা শাসনতন্ত্র বলে। সংবিধান হলো রাষ্ট্রের দর্পণ। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলের মতে, "সংবিধান হলো রাষ্ট্রের সেই জীবনধারা যা রাষ্ট্র নিজেই বেছে নিয়েছে।" (Constitution is the way of life the state has chosen for itself) একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংবিধানে বর্ণিত আইনসমূহকে সাংবিধানিক আইন বলা হয়।

ব্লাসফেমি আইন: ব্লাসফেমি (ধর্ম অবমাননা) ধর্মীয় অনুভূতিতে। আঘাত হানার জন্য এক ধরনের শাস্তিমূলক আইন। এই আইন যুক্তরাজ্যে প্রথম চালু হয়। ব্রিটিশ ভারতীয় লেখক সালমান রুশদিকে তাঁর বির্তকিত উপন্যাস 'The Satanic Verses' (ইসলাম ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত) প্রকাশের জন্য ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনী ১৯৮৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডাদেশ (ফতোয়া) দেন। কিন্তু আইনের চোখে সে কোনো অপরাধ করেনি বিধায় তাঁর বিচার হয়নি । 

Reference: জর্জ MP3 আন্তর্জা‌তিক