জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব

মানব বসতিহীন বরফাচ্ছন্ন মহাদেশ এন্টার্কটিকা। পৃথিবীর মোট জমাটবদ্ধ বরফের ৯০% এন্টার্কটিকা মহাদেশে রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন (Global warming) এর ফলে মেরু অঞ্চলের ও পর্বতের চূড়ার বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। গ্রিনহাউজ প্রভাব পৃথিবীর কয়েকটি দেশে (যথা- কানাডা, রাশিয়া, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন প্রভৃতি) সাফল্য বয়ে আনবে। কারণ ঐসব দেশের লাখ লাখ একর জমি বরফমুক্ত হয়ে চাষাবাদ ও বসবাসযোগ্য হয়ে উঠবে।

বিশ্বব্যাংক বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ দিক চিহ্নিত করেছে।

ঝুঁকিগুলো হলো- মরুকরণ, বন্যা, ঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং কৃষিক্ষেত্রে অধিকতর অনিশ্চয়তা। বন্যা, ঝড় ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। গ্রিনহাউস ইফেক্টের কারণে বাংলাদেশসহ পৃথি বীর বিভিন্ন দেশে উপকূলীয় এলাকার এক বিরাট অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। IPCC ২০০৭ সালে তার সতর্কীকরণে বলেছে ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৪৫ সে.মি. বাড়লে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী ১০-১৫% ভূমি পানির নিচে চলে যাবে। আনুমানিক ৩.৫ কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি হারিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে।

সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে নিচু দ্বীপরাষ্ট্রগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরের অনেকগুলো দ্বীপ নিয়ে গঠিত এমনি একটি দ্বীপরাষ্ট্র। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে মালদ্বীপের অস্তিত্ব। সমুদ্রের তলদেশে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দেশটির সরকার অন্য দেশে জমি ক্রয়ের চিন্তা করছে। ২০০৯ সালের ১৭ অক্টোবর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের  উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকির প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ভারত মহাসাগরের তলদেশে বৈঠক করেন তৎকালীন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ ও মন্ত্রিসভা ।

Reference: জর্জ MP3 আন্তর্জা‌তিক