নৃগোষ্ঠী
নৃগোষ্ঠী বলতে মানব প্রজাতির এমন এক উপবিভাগকে বোঝায় যার সদস্যবৃন্দ উত্তরাধিকার সূত্রে একই দৈহিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। এভাবে প্রতিটি উপবিভাগ এক একটি নরগোষ্ঠী এবং সেগুলো ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। সাধারণত গায়ের রং, চুল ও চোখের গড়ন ও রং, নাক, ঠোঁট, চিবুক ও মাথার আকৃ তি ও গড়ন, দৈহিক উচ্চতা ইত্যাদির ভিত্তিতে পৃথিবীর মানুষকে কয়েকটি বৃহৎ নরগোষ্ঠীতে ভাগ করা হয়। যেমন-
ক) ককেশীয় (Caucasoid): গায়ের চামড়া সাদা, চুল কোঁকড়ানো, দেহ লোমাবৃত, নাক পাতলা ও উন্নত, ঠোঁট পাতলা। যথা- নর্ভিক, আলপাইন, মেডিটারেনিয়ান ও জাত হিন্দু।
খ) মঙ্গোলীয় (Mongoloid): গায়ের রং পীতবর্ণ থেকে উজ্জ্বল শ্যামলা, চুল কালো বা খুব গাঢ় বাদামি, কালো বা বাদামি চোখ, নাক মোটা এবং কিছুটা উন্নত। যথা- এশীয় মঙ্গোলীয়, আমেরিকান ইন্ডিয়ান, পলিনেশীয় ও শ্বেতকায় মঙ্গোলীয়দের মাঝামাঝি মানবগোষ্ঠী। বাংলাদেশে বসবাসকারী উপজাতীয়দের বড় অংশ মঙ্গোলয়েড ।
গ) নিগ্রোয়েড (Negroid): গায়ের রং কালো, চুল পশমি এবং নাক প্রশস্ত। গায়ে পাতলা চুল লক্ষণীয়। এদের বসবাস আফ্রিকায়।
ঘ) অস্ট্রেলীয় (Australoid): মাথার চুল ঢেউ খেলানো, গায়ে প্রচুর লোম, লম্বা মাথা, প্রশস্ত নাক, কালো বাদামি গারোর রং এবং উচ্চতা মধ্যমাকৃতির। অস্ট্রেলীয় আদিবাসী ইন্দো- অস্ট্রেলীয় ও জাপানের আইনুদের এই শ্রেণিতে ফেলা হয়। বাংলাদেশের মানুষ প্রধানত আদি-অস্ট্রেলীয় (Proto- Australian) নরগোষ্ঠীভুক্ত।