ন্যাটোর সম্প্রসারণ

ন্যাটোর সম্প্রসারণ


পূর্ব ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনের পর ন্যাটো তার পূর্ব সীমান্ত সম্প্রসারণের এক মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে। এক সময়ে ওয়ারশ জোটের সদস্য বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, শ্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, রুমানিয়া, হাঙ্গেরি, আলবেনিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়াকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেয়া হয়। যুগোশ্লাভিয়ার পতনের ফলে সৃষ্ট রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া, মন্টিনিগ্রো, স্লোভেনিয়া এবং উত্তর মেসিডোনিয়া ন্যাটোতে যোগ দেয়। ন্যাটো বাহিনীকে আফগানিস্তানে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে প্রেরণ করা হয়। এটি ছিল আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলের বাইরে ন্যাটোর প্রথম মিশন।

 

                                                           সভ্যতার সংঘাত

 যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিজ্ঞানী স্যামুয়েল পি হানটিংটন ১৯৯৩ সালে মার্কিন ম্যাগাজিন ফরেন অ্যাফেয়ার্সে 'The Clash of Civilizations?" নামক নিবন্ধে 'সভ্যতার সংঘাত' (The clash of Civilizations) নামক তত্ত্বের অবতারণা করেন। এই তত্ত্বের- The next Pattern of conflict অংশে জাতিসমূহ ও বিভিন্ন সভ্যতার সমষ্টির মধ্যে সংঘাতের বিষয় আলোচিত হয়। Why Civilizations will clash অংশে প্রধান ৭/৮ টি সভ্যতার মধ্যে সংঘাতের কথা উল্লেখ করা হয় সভ্যতাগুলো হলো। পশ্চিমা, কনফুসীয়ান, জাপানিজ, ইসলামিক, হিন্দু, লাতিন আমেরিকান, প্লাভিক-অর্থোডক্স এবং (সম্ভাব্য) আফ্রিকান। হানটিংটন এই তত্ত্বের সম্প্রসারণ করে 'The clash of Civilizations and the Remaking of the World Order' (1996) শীর্ষক গ্রন্থে তা প্রকাশ করেন। হানটিংটন এর মতে, স্নায়ু যুদ্ধোত্তর বিশ্বে পশ্চিমাদের পরবর্তী বড় যুদ্ধ হবে ইসলামের সাথে। এজন্য ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার পর হানটিংটনের 'সভ্যতার সংঘাত' তত্ত্বটি ব্যাপক পরিচিতি পায়।

Reference: জর্জ MP3 আন্তর্জা‌তিক