সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ (অফিসিয়াল নামঃ Operation Enduring Freedom)
৯/১১-এর হামলার ঘটনায় আল কায়েদার সদস্যদের দায়ী করে ওয়াশিংটন। সৌদি ধনকুবের ওসামা বিন লাদেন ছিলেন আল কায়েদার তখনকার প্রধান। ওসামা বিন লাদেনসহ আল কায়েদার শীর্ষ নেতাদের তালেবানরা আশ্রয় দিয়েছে, এই অভিযোগ তুলে ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে রক্তক্ষয়ী অভিযান শুরু করে ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী। ঐ বছরের ডিসেম্বরেই তালেবানরা ক্ষমতাচ্যুত হয়। তালেবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা ওমরসহ অনেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়। তালেবানরা আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়লেও, তারা গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে থেকে যায় দেশটির রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে। টুইন টাওয়ার হামলার প্রায় দশ বছর পর ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেন মার্কিন নেভি সিল কমান্ডোরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেই যুদ্ধ এখনো থামেনি। আমেরিকানরা সর্বোচ্চ চেষ্টার পরেও পরাজিত করতে পারেনি তালেবানদের, স্তিমিত করতে পারেনি তাদের প্রভাব। অন্তহীন এই যুদ্ধের সম্মানজনক পরিসমাপ্তি টানতে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের দোহায় তালেবানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র।
গুয়ান্তানামো বে কারাগার ৯/১১-এর পরবর্তী সময়ে 'শত্রুযোদ্ধা'দের আটক রাখতে ২০০২ সালের মার্কিন প্রশাসন এ কারাগার চালু করে। দক্ষিণ কিউবায় অবস্থিত মার্কিন নৌঘাঁটিতে এ কারাগার অবস্থিত। ১৯০৩ সালের বিতর্কিত হাভানা চুক্তির আওতায় কিউবা থেকে ইজারা নিয়ে মার্কিন ঘাঁটি তৈরি করা হয়। মার্কিন নৌঘাঁটি এবং কিউবার ভূখণ্ডকে বিভক্তকারী সীমারেখা ক্যাকটাস পর্দা (Cactus curtain) নামে পরিচিত। কারাগারটি চালু করার পর থেকে বেশ দ্রুত এর কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা দুনিয়ায়। |