আরবি সাহিত্য
১)প্রাক- ইসলামী যুগ: 'আইয়্যামে জাহেলিয়্যা' আরবি শব্দ। 'আইয়্যাম' অর্থ যুগ এবং 'জাহেলিয়্যা' অর্থ তমসা, অজ্ঞতা।আইয়্যামে জাহেলিয়্যা বলতে ইসলামপূর্ব অরাজক ও বিশৃঙ্খল সময়কে বোঝায়। ইসলামের আবির্ভাবের অব্যবহিত পূর্বের একশত বছরকে জাহেলি যুগ (৫১০ ৬১০ খ্রি.) বলে। জাহেলি যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি ছিলেন ইমরুল কায়েস। তাঁকে কবিদের রাজপুত্র, আরবি কাব্যের জনকও বলা হয়। ইউরোপীয় সমালোচকগণ তাঁর উৎকৃষ্ট শব্দ চয়ন ও সাবলীল রচনাশৈলীতে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে 'আরবের শেক্সপিয়র' বলে আখ্যায়িত করেন। তাঁর বিখ্যাত কাব্য সংকলন 'মুআল্লাকা'। জাহেলি যুগের কবি হাতিম তাঈ দানশীলতা ও ওফাদারীর জন্য আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন । পৃথিবীর প্রায় সব ভাষার সাহিত্যচর্চা কাব্য দিয়েই শুরু হয়েছিল। আরবি ভাষাও এর ব্যতিক্রম নয়। কবিতাই ছিল প্রাচীন আরবদের আত্মার খোরাক। মক্কার নিকটবর্তী স্থানে জিলক্বদ মাসে 'উকায' মেলা হতো। মেলায় কবিতা প্রতিযোগিতায় সেরা সাতটি কবিতাকে কাবাঘরের দেওয়ালে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো যা 'সাবায়ে মুয়াল্লাকাত' বা ঝুলন্ত কবিতা নামে পরিচিত।
২) প্রাথমিক ইসলামি যুগ (৬১০ ৭৫০ খ্রি.): হাম্মাদ আর রাবিয়া 'সাবায়ে মুয়াল্লাকাত' বা ঝুলন্ত কবিতা সংকলন করেন।
৩) আব্বাসি যুগ (৭৫০-১২৫৮ খ্রি.): 'One Thousand and One Nights' মধ্যপ্রাচ্যের গল্প এবং লোককথার সংকলন যা ইসলামি সাহিত্যের স্বর্ণযুগে আরবিতে সংগৃহিত হয়েছিল। এটি 'Arabian Nights' নামেও এটি পরিচিত। সংকলিত আরবি কাব্যগ্রন্থ আল-হামাসা, দীওয়ানুল হামাসা এর সংকলক ছিলেন আবু তাম্মাম।
৪) অবক্ষয় যুগ (১২৫৯ - ১৭৯৭ খ্রি.)
৫) আধুনিক যুগ (১৭৯৮ - আজ পর্যন্ত): নেপোলিয়নের মিশর আক্রমণ (১৭৯৮ খ্রি.) এর পর আরবি সাহিত্যের পুনর্জাগরণ (Renaissance) শুরু হয় এবং মিশর এই পুনর্জাগরণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।