ইংরেজি সাহিত্যের আদি নিদর্শন:
Beowulf (বেওউল্ফ):
- এই মহাকাব্যের রচয়িতা কোন এক অজ্ঞাতনামা অ্যাংলো স্যাক্সন কবি। গবেষকরা তাকে বেউলফের কবি নামে চিহ্নিত করেন। এটিকে ইংরেজি সাহিত্যের আদি নিদর্শন, First Monument in English Literature বলা হয়। [যেমন: বাংলায় চর্যাপদ]
- এটিকে The Earliest Epic (মহাকাব্য) in England-ও বলা হয়ে থাকে। সম্ভবত ৬৫০ সালে রচিত হয়েছিল। (যেমন: বাংলা সাহিত্যে প্রথম এবং সার্থক মহাকাব্য মাইকেল মধুসূদনের মেঘনাদ বধ -১৮৬১ সালে)
- এ কাব্যটি স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের পটভূমিতে রচিত হলেও ইংল্যান্ডের জাতীয় মহাকাব্যের স্বীকৃতি পায় । এটিকে ইংরেজি সাহিত্যের প্রথাগত ইতিহাসের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নমুনার মর্যাদা দেওয়া হয়।
- বিনোদনের জন্য রচিত প্রাচীন ইংরেজি ভাষায় লিখিত এই Heroic Epic টিতে ৩১৮২ টি লাইন ছিল। মহাকাব্যের নায়কের নাম হল Beowulf, যিনি England কে প্রথমে (যৌবনে) পাতালপুরীর রাক্ষসদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। পরে (শেষ বয়সে) ড্রাগনদের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজে মারা যান। এই গ্রন্থের মূল পাণ্ডলিপি লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।
(বেউলফের সারসংক্ষেপঃ
মহাকাব্যের প্রধান চরিত্র বেউলফ হলেন গেটস জাতীয় এক যোদ্ধা। তিনি ডেনস রাজা হ্রথগারকে সাহায্য করতে আসেন। হথগারের বিশাল প্রাসাদ হেওরটে গ্রেন্ডেল নামে এক দৈত্য হানা দিচ্ছিল বেউলফ গ্রেন্ডেলকে খালি হাতে হত্যা করেন। তারপর দৈত্যের বাসা থেকে পাওয়া এক তরবারির সাহায্যে তিনি গ্রেন্ডেলের মাকে হত্যা করেন। পরবর্তী জীবনে বেউলফ গেটসদের রাজা হন। এক ড্রাগন তার রাজ্যে হানা দিতে শুরু করে। একটি সমাধিস্তপে রক্ষিত এই ড্রাগনের ধনসম্পত্তি চুরি গিয়েছিল। নিজের ভৃত্যদের সাহায্যে বেউলফ ড্রাগনটিকে আক্রমণ করলেন। কিন্তু তারা সফল হলেন না। বেউলফ ড্রাগনটির পিছু নিয়ে আনানিসে তার বাসায় গেলে। তার সঙ্গে কেউ যেতে চাইলেন না। শুধু তার তরুন সুইডিশ আত্মীয় উইগলাফ তার সঙ্গে গেলেন। অবশেষে বেউলফ ড্রাগনটিকে হত্যা করতে সক্ষম হলেন। কিন্তু যুদ্ধে তিনিগুরুতর আহত হয়ে মারা গেলেন। সমুদ্রের ধারে একটি সমাধিস্তুপে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।)
- Beowulf ছাড়াও The Wanderer, The Seafarer, The Husband's Message, The Wife's Lament, Traveler প্রভৃতি নামে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কবিতা পাওয়া যায়। এগুলোর সুনির্দিষ্ট কোন লেখকের নাম পাওয়া যায় না।