চুম্বক ও চুম্বকত্ব

চুম্বক হচ্ছে সেই সকল পদার্থ যাদের আকর্ষণ ও দিকদর্শী ধর্ম আছে। এ সকল পদার্থ দিয়ে উপযুক্ত পদার্থকে চুম্বক ধর্ম প্রদান করা যায়। চুম্বক পদার্থের ধর্মই হলো চুম্বকত্ব। চুম্বকত্ব পদার্থের ভৌত ধর্ম। কারণ পদার্থকে চুম্বকে পরিণত করলে এর ভর, ঘনত্ব, আয়তন ও তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন হয় না। তবে চুম্বকত্বের উপর তাপমাত্রার বাহ্যিক প্রভাব রয়েছে।

যেকোনো চুম্বকের যে দুই প্রান্তের আকর্ষণ বল সবচেয়ে বেশি সে প্রান্তকে চৌম্বক মেরু বলে। 

একটি চুম্বক শলাকাকে এর ভারকেন্দ্রে অনুভূমিকভাবে ঝুলিয়ে দিলে শলাকাটি সর্বদাই উত্তর-দক্ষিণ দিকে মুখ করে থাকে। চুম্বকের এই আচরণ দেখে ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে রানি এলিজাবেথের রয়েছে অর্থাৎ ড. গিলবার্ট সর্বপ্রথম এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, একটি চুম্বক ক্ষেত্র পৃথিবীকে ঘিরে গৃহ চিকিৎসক পৃথিবী নিজেই একটি বড় চুম্বক। পৃথিবীর এ চুম্বকত্বকে ভূ-চুম্বকত্ব বলে। ভূ-চুম্বকের উত্তর মেরু ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরু হতে ২২০০ কিমি. পশ্চিমে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের ভিক্টোরিয়া অঞ্চলে এবং ভূ-চুম্বকের দক্ষিণ মেরু ভৌগোলিক উত্তর মেরু হতে ২৫০০ কিমি. দূরে কানাডার বুথিয়া উপদ্বীপে অবস্থিত। চুম্বকীয় কম্পাসের সাহায্যে সহজেই দিক নির্ণয় করা যায় ।

Reference: MP3 বিজ্ঞান