গঠনগত ও কার্যগতভাবে বিশেষিত যে কোষ বা কোষগুচ্ছ দেহের বিভিন্ন জৈবনিক প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থ ক্ষরণ করে, তাকে গ্রন্থি বলে । গ্রন্থি এক ধরনের রূপান্তরিত আবরণী কলা বা টিস্যু। গ্রন্থি দুই প্রকার। যথা-
ক) অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিঃ পিটুইটারি, থাইরয়েড, থাইমাস, অ্যাড্রেনাল,শুক্রাশয়, ডিম্বাশয় ইত্যাদি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি । পিটুইটারী গ্রন্থিকে প্রভু গ্রন্থি বা গ্রন্থিরাজ বলা হয় । কারণ পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোনের সংখ্যা বেশি এবং অন্যান্য গ্রন্থির উপর এর প্রভাব বেশি।
খ) বহিঃক্ষরা গ্রন্থিঃ সিবেসিয়াস, সেরুমিনাস, স্তনগ্রন্থি, লালাগ্রন্থি, ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি, যকৃত, অগ্ন্যাশয় ইত্যাদি। চোখের পানির উৎস ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি।