যে অঙ্গের সাহায্যে আমরা বাহিরের জগতকে অনুভব করতে পারি, তাকে সংবেদী অঙ্গ বলে। চোখ, কান, নাক, জিহ্বা ও ত্বক- এ পাঁচটি হচ্ছে মানুষের সংবেদী অঙ্গ। সাধারণ ভাষায় এদের পঞ্চ-ইন্দ্রিয় বলে।
ত্বক : মানব দেহের সর্ববৃহৎ অঙ্গ ত্বক। ত্বকে মেলানিন নামে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে। মানুষের গায়ের রঙ মেলানিনের উপর নির্ভর করে।
কান : শ্রবণ ও দেহের ভারসাম্য রক্ষা করা কানের কাজ। মানুষের কান ৩টি অংশে বিভক্ত। যথা-
ক) বহিঃকর্ণ ; কানে শব্দ তরঙ্গ প্রবেশ করলে প্রথম কানপর্দা কেঁপে উঠে
খ) মধ্যকর্ণ : তিনটি হাড় থাকে। যথা- ম্যালিয়াস, ইনকান এবং স্টেপিস। ‘স্টেপিস' মানুষের দেহ সবচেয়ে ছোট অস্থি।
গ) অন্তঃকর্ণ : পাতলা পর্দা জাতীয় মেমরেনাস ল্যাবিরিন্থ নামক জটিল অঙ্গ দ্বারা অন্তঃকর্ণ গঠিত। মেমরেনাস ল্যাবিরিন্থ দুটো প্রধান অংশের সমন্বয়ে গঠিত-
(১) ইউট্রিকুলাস (ভারসাম্য অঙ্গ)
(২) স্যাকুলাস (শ্রবণ অঙ্গ) : এর অঙ্কীয় দেশ হতে প্রলম্বিত এবং শামুকের ন্যায় প্যাঁচানো 'ককলিয়া নামক নালী বের হয় । ককলিয়ার অন্তঃপ্রাচীরে থাকে শ্রবণ সংবেদী কোষ ‘অর্গান অফ কটি।