মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে পরিবেশের উপাদানে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন হলো পরিবেশ দূষণ। পরিবেশ দূষণ ৪ প্রকার । যথা- বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ এবং শব্দ দূষণ। প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হলো মানুষ ।
বায়ুদূষণ : গাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস থাকে। কার্বন মনোক্সাইড হিমোগ্লোবিনের অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা খর্ব করে। ডিজেল পোড়ালে বাতাসে আসে সালফার ডাই-অক্সাইড (SO) গ্যাস। বায়ুতে শিল্প কারখানা হতে নির্গত সালফার ডাই অক্সাইড (প্রধানত), নাইট্রোজেনের বিভিন্ন অক্সাইড বৃষ্টির সময় পানির সাথে যুক্ত হয়ে এসিড বৃষ্টি (Acid Rain) এর সৃষ্টি করে। শিল্প সমৃদ্ধ টিয়ে এলাকায় সাধারণত এসিড বৃষ্টি দেখা যায়। যান্ত্রিক পরিবহন ও শিল্পকারখানার দূষণ থেকে SMOG এর সৃষ্টি হয়। SMOG হচ্ছে এক ধরনের দূষিত বায়ু। স্মোগ (SMOG) শব্দটি এসেছে SMOKE + FOG হতে ।
পানি দূষণ : পানিতে উপস্থিত অনুজীব কর্তৃক জৈব ও অজৈব পদার্থকে বিয়োজিত করতে প্রয়োজনীয় দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণকে প্রাণ রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা (Biological Oxygen Demand, BOD) বলে । অন্যদিকে, পানির মধ্যে কিছু অপচনশীল বা জৈব বিয়োজনের অযোগ্য বস্তু থাকে যাদের বিয়োজন ব্যাকটেরিয়া বা জীবণু দ্বারা সম্পন্ন হয় না। এগুলিকে বিয়োজনের জন্য শক্তিশালী জারক পদার্থ যেমন K,Cr,O, (যা অক্সিজেন সরবরাহ করে) প্রয়োজন হয়। এরা দূষক পদার্থকে জারিত করে। পানিতে উপস্থিত বিয়োজন যোগ্য ও বিয়োজন অযোগ্য দূষক পদার্থসমূহকে জারণের জন্যে প্রয়োজনীয় মোট অক্সিজেনের চাহিদাকে রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা (Chemical Oxygen Demand, COD) বলে। উল্লেখ্য যে, কোন নমুনার COD এর মান BOD এর মান অপেক্ষা বেশি হয়।
শব্দ দূষণ : শব্দ দূষণের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, নিদ্রাহীনতা এবং মানসিক বৈকল্যের সৃষ্টি হতে পারে।