শীম জাতীয় উদ্ভিদে Rhizobium ব্যাকটেরিয়া নাইট্রোজেনকে নাইট্রেটে পরিণত করে। আমাদেরঅস্ত্রে Escherichia coli ব্যাকটেরিয়া থাকে। শুকনো মাধ্যমে খাবার সংরক্ষণ করা যায় কারণ পচনকারী জীবাণু পানি ছাড়া বাঁচে না। নিষ্পিষ্ট মসলায় লবণ মিশিয়ে অনেকদিন রাখা যায় কারণ লবণ পচনকারী জীবাণুর বংশ বিস্তার রোধ করে।
পাস্তুরাইজেশনঃ
দুধে ল্যাক্টোজ থাকে । দুধের ব্যাক্টোরিয়া ল্যাক্টোজকে ল্যাকটিক এসিডে পরিণত করে। ফলে দুধ টক হয়। দুধকে জীবাণুযুক্ত করার প্রক্রিয়াকে পাস্তুরায়ন বলে। ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর এ প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন। আবিষ্কারকের নামানুসারে এ পদ্ধতির নামকরণ করা হয়েছে পাস্তরায়ন। আমরা দইয়ের সাথে এক ধরনের প্রচুর ব্যাক্টেরিয়া খাই ।
ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগঃ
ব্যাকটেরিয়া গরু মহিষের যক্ষ্মা, ভেড়ার অ্যানথ্রাক্স, ইঁদুরের প্লেগ এবং মুরগীর কলেরা ইত্যাদি রোগ সৃষ্টি করে। ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের গমের টুন্ডুরোগ, ধানের ব্লাইট, আখের আঠাঝড়া রোগ, টম্যাটোর ক্যাংকার, আলুর পচা রোগ, ভূট্টার বোটা পচা রোগ ইত্যাদি সৃষ্টি করে।
ব্যাকটেরিয়া মানুষের বহুবিধ রোগ সৃষ্টি করে। যেমনঃ যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, মেনিনজাইটিস, গনোরিয়া, সিফিলিস, টাইফয়েড, প্যারাটাইফয়েড, কলেরা, রক্ত আমাশয়, কুষ্ঠ/লেপ্রোসি, ধনুষ্টংকার, প্লেগ,অ্যানথ্রাক্স