ফারাক্কা বাঁধ
কলকাতা বন্দরকে বন্যা ও পলির হাত থেকে রক্ষার্থে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৬.৫ কি.মি. দূরে ভারতের মনোহরপুরে গঙ্গা নদীতে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে ভারত সরকার।
১৯৬১ সালে ফারাক্কা বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৭৫ সালে শেষ হয়।
এই বাঁধ নির্মাণের ফলে গঙ্গা তথা বাংলাদেশ অংশে পদ্মানদীতে পানি সংকট দেখা দেয় এর কারণে খুলনা অঞ্চলের লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও দক্ষিণ অঞ্চলে পানি সংকট দেখা দেয়।
১৯৭৫ সালে ভারত সরকার ১০ দিনের জন্য পরিক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর কথা বললেও ভারত ধীরে ধীরে গঙ্গা নদীর গতিপথ পরিবর্তন করতে থাকে।
ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফারাক্কা সংকটের প্রতিবাদস্বরূপ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফারাক্কার অভিমুখে ১৬ মে, ১৯৭৬ সালে ঐতিহাসিক লংমার্চ করেন।
১৯৭৭ সালে প্রথম গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এখন পর্যন্ত ফারাক্কার বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৩টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ-ভারত ঐতিহাসিক গঙ্গা পানিচুক্তি ভারতের নয়াদিল্লিতে স্বাক্ষরিত হয়। এই ঐতিহাসিক চুক্তি ৩০ বছরের জন্য (১৯৯৭-২০২৭) স্বাক্ষরিত হয়।