মধ্যযুগের প্রথম কাব্য 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' এর রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস। তিনি শ্রীচৈতন্যদেবের ১০০/১২৫ বছর পূর্বে জীবিত ছিলেন। তিনি বাসলী দেবীর আরাধনা করেই কবি প্রতিভা অর্জন করেছিলেন। দেবী বরে তিনি কবিত্বশক্তি লাভ করেন, এটি তাঁর সহজাত প্রতিভা নয়।
প্র. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের রচনাকাল কত? ১৫তম বিসিএস লিখিত।
উ. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এর মতে, ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দ। গোপাল হালদারের মতে, (১৪৫০-১৫০০ খ্রি.) এর মধ্যে।
প্র. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য কোথা থেকে, কে উদ্ধার করেন? (২৫তম বিসিএস লিখিত)
উ. ১৯০৯ সালে (১৩১৬ ব.) পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের নিকটবর্তী কাঁকিল্যা (কালিয়া) গ্রামের শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্র বংশীয় দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নামক এক ব্রাহ্মণের বাড়ির গোয়ালঘরের মাচার ওপর থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং পুঁথিশালার অধ্যক্ষ বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ এটি উদ্ধার করেন। বসন্তরঞ্জন রায়ের উপাধি- 'বিদ্বদ্বল্লভ'।
প্র. কার সম্পাদনায় 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য প্রকাশিত হয়?
উ. বসন্তরঞ্জন রায় ১৯১৬ সালে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' থেকে এটি প্রকাশ করেন।
প্র. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যে কয়টি খণ্ড ও চরিত্র আছে?
উ. ১৩টি খণ্ড। চরিত্র: রাধা (জীবাত্মা বা প্রাণিকূল), কৃষ্ণ (পরমাত্মা বা ঈশ্বর), বড়ায়ি (রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতি)।
প্র. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের অপর নাম কী?
উ. শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ। 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' নামটি রাখেন বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ।
প্র. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের রচয়িতা কে? /২২/২০/১০তম বিসিএস লিখিত।
উ. বড়ু চণ্ডীদাস।
প্র. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যে বড়ু চণ্ডীদাসের আর কী কী নাম পাওয়া যায়?
উ. অনন্ত চণ্ডীদাস, চণ্ডীদাস।