মধ্যযুগের প্রথম মুসলমান কবি হলেও, মধ্যযুগের কবিদের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন বলে তাঁকে প্রাচীন কবি বলা হয়। তিনি মূলত প্রাকৃত ভাবাপন্ন কবি। তাঁর কবিতায় আরবি ও ফারসি ভাষার ব্যবহারও লক্ষণীয়।
প্রশ্ন: 'ইউসুফ জোলেখা' কে অনুবাদ করেন? [২৭/১৫/১০তম বিসিএস লিখিত]
উত্তর: শাহ মুহম্মদ সগীর। তিনি ফারসি (পারস্য) কবি আবদুর রহমান জামী রচিত 'ইউসুফ ওয়া জুলায়খা' থেকে বাংলায় 'ইউসুফ জোলেখা' নামে অনুবাদ করেন। এ কাব্যের পটভূমি ইরান।
প্রশ্ন: রোমাঞ্চধারার একজন মুসলিম কবির কাব্য সম্পর্কে আলোচনা করুন? (৩৬তম বিসিএস লিখিত)
উত্তর: রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম বাঙালি মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীর। তিনি গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে (১৩৮৯-১৪০৯ খ্রি.) পারসি কবি আবদুর রহমান জামী রচিত 'ইউসুফ ওয়া জুলায়খা' থেকে বাংলায় 'ইউসুফ জোলেখা' নামে অনুবাদ করেন। কোরআন ও বাইবেলের নৈতিক উপাখ্যান হিসেবে 'ইউসুফ জোলেখা'র কাহিনী বর্ণিত আছে। তৈমুস বাদশার কন্যা জোলেখার আজিজের সাথে বিবাহ হলেও ক্রীতদাস ইউসুফের (নবী) প্রতি প্রেমাসক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু ইউসুফ (আঃ) তা এড়িয়ে যান। বিভিন্ন ঘটনার পরিক্রমায় ইউসুফ মিশরের অধিপতি হন এবং জোলেখার প্রতি তার মনোভাবের পরিবর্তন ঘটে। শেষে ধর্মান্তরের মাধ্যমে ইউসুফ-জোলেখার মিলন ঘটে। সুফিবাদীরা ইউসুফকে পরমাত্মা এবং জোলেখাকে জীবাত্মা হিসেবে উপস্থাপন করেন।