গোবিন্দদাস (১৫৩৪ - ১৬১৩)

কবি বিদ্যাপতির ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ চৈতন্যোত্তরকালে খ্যাতি অর্জনকারী কবিদের একজন গোবিন্দদাস। গোবিন্দদাসের কবিত্বগুণের সাথে বিদ্যাপতির ভাবের বিশেষ মিলের কারণে কবি বল্লভদাস তাকে 'বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য' অভিধা প্রদান করেন। তাঁর পদাবলিতে রাধা চরিত্রের সুষ্ঠু বিকাশ ও পরিণতি লক্ষ করা যায়। প্রথম জীবনে তিনি শাক্ত ধর্মে দীক্ষিত ছিলেন। ৪০ বছর বয়সে বৈষ্ণবগুরু শ্রীনিবাস আচার্যের কাছ থেকে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষা নেন।  

  • গোবিন্দদাস মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলার নিকটবর্তী তেলিয়াবুধুরি গ্রামে আনুমানিক ১৫৩৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
  • গোবিন্দদাসের আসল পদবি 'সেন'।
  • গোবিন্দদাসকে বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য বলা হয়।
  • তাঁর কবিতায় মুগ্ধ হয়ে শ্রীনিবাস আচার্য গোবিন্দদাসকে 'কবিরাজ' উপাধি প্রদান করেন।
  • তাঁর পদাবলিতে মুগ্ধ হয়ে জীব গোস্বামী তাকে 'কবিন্দ্র' উপাধি প্রদান করেন।
  • 'গীতগোবিন্দ' তার বিখ্যাত পদাবলি।
  • তিনি আনুমানিক ১৬১৩ সালে মারা যান।

 

প্র. গোবিন্দদাস রচিত সংস্কৃত নাটকের নাম কী?

উ. 'সংগীতমাধব'। তিনি এটি রচনা করেন রাজা সন্তোষদত্তের অনুরোধে। এ গ্রন্থে তার পারিবারিক পরিচিতি পাওয়া যায়।

প্র. গোবিন্দদাসের শ্রেষ্ঠত্ব কোথায়?

উ. তিনি মূলত পূর্বরাগ, অভিসার, মান, মাথুর প্রভৃতি পর্যায়ের পদকর্তা এবং অলঙ্কার শাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। তিনি অভিসার পদ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। সমালোচকরা তাঁকে অভিসার পর্যায়ে রাজাধিরাজ নামে অভিহিত করেছেন। তার নামে প্রায় চারশত বৈষ্ণবপদ পাওয়া যায়।

 

Reference: অগ্রদূত বাংলা