মাইকেল মধুসূদন দত্তের পরবর্তীকালে সর্বাধিক খ্যাতিমান কবি ছিলেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মহাকাব্যের মধ্য দিয়ে তৎকালীন ইংরেজ শাসিত ভারতীয়দের, বিশেষত বাঙালি শিক্ষিত মহলে স্বদেশপ্রেমের উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।
প্র. হেমচন্দ্র রচিত কাব্যগ্রন্থ সমূহের নাম কী?
উ. 'চিন্তাতরঙ্গিণী' (১৮৬১): এটি তাঁর রচিত প্রথম কাব্য। এ কাব্য প্রতিবেশী এক বন্ধুর আত্মহত্যার ঘটনা অবলম্বনে রচিত।
'নলিনীবসন্ত' (১৮৬৪): এটি শেক্সপিয়রের The Tempest অবলম্বনে রচিত।
'ছায়াময়ী' (১৮৮০): এটি দান্তের 'The Divine Comedy' অনুসারে রচিত।
'বীরবাহু' (১৮৬৪), 'কবিতাবলী' (১৮৭০- এটি খণ্ড কবিতার সংকলন), 'আশাকানন' (১৮৭৬), 'দশমহাবিদ্যা' (১৮৮২), 'চিত্তবিকাশ' (১৮৯৮)।
প্র. হেমচন্দ্র রচিত মহাকাব্যের নাম কী?
উ. 'বৃত্রসংহার' (১৮৭৫-৭৭): হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত দুই খণ্ডে বিভক্ত জনপ্রিয় আখ্যানকাব্য 'বৃত্রসংহার' (১ম খণ্ড- ১৮৭৫, ২য় খণ্ড- ১৮৭৭), যা মহাকাব্য হিসেবে পরিচিত। হিন্দু জাতীয়তাবোধ প্রকাশের লক্ষ্যে হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে তিনি এ মহাকাব্য রচনা করেন। বৃত্র নামক অসুর কর্তৃক স্বর্ণবিজয় এবং দেবরাজ ইন্দ্র কর্তৃক স্বর্গের অধিকার পুনঃস্থাপন ও বৃত্রাসুরের নিধন এ মহাকাব্যের মূল বিষয়।
প্র. হেমচন্দ্র রচিত কবিতাসমূহ কী কী?
উ. 'জীবন-সঙ্গীত' (এটি লংফেলো এর বঙ্গানুবাদ), 'ভারতসঙ্গীত', 'ভারতবিলাপ', 'গঙ্গার উৎপত্তি', 'পদ্মের মৃণাল', 'ভারতকাহিনী', 'অশোকতরু', 'কুলীন কন্যাগণের আক্ষেপ'।