সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে 'ছন্দের রাজা' ও 'ছন্দের জাদুকর' 'বাস্তববাদী কবি' অভিধায় বিশেষায়িত করা হয়। দেশাত্মবোধ, শক্তির সাধনা ও মানবতার বন্দনা তাঁর কবিতার বিষয়। প্রেম-প্রকৃতি তাঁর কাব্যের প্রধান পাত্র-পাত্রী। ছন্দের ঝংকারে তাঁর কবিতা সমৃদ্ধ হয়।
প্র. সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের সাহিত্যকর্মসমূহ কী কী?
উ. মৌলিক কাব্য:
'সবিতা' (১৯০০), 'সন্ধিক্ষণ' (১৯০৫), 'বেণু ও বীণা' (১৯০৬), 'হোমশিখা' (১৯০৭), 'ফুলের ফসল' (১৯১১), 'কুহু ও কেকা' (১৯১২), 'তুলির লিখন' (১৯১৪), 'অভ্র-আবীর' (১৯১৬), 'হসন্তিকা' (১৯১৯), 'বেলা শেষের গান' (১৯২৩), 'বিদায় আরতি' (১৯২৪), 'কাব্য সঞ্চয়ন' (১৯৩০)।
অনূদিত কাব্য: 'তীর্থ রেণু' (১৯১০), 'মণি-মঞ্জুষা' (১৯১৫), 'তীর্থ সলিল' (১৯১৮)।
উপন্যাস: 'জনম দুঃখী' (১৯১২- এটি অনুবাদ উপন্যাস)।
প্রবন্ধ: 'চীনের ধূপ' (১৯১২- এটি অনুবাদ প্রবন্ধ), 'ছন্দ-সরস্বতী' (১৯১৯)।
নাটক: 'রঙ্গমল্লী' (১৯১৩- এটি অনুবাদ নাটক)।
বিখ্যাত পঙক্তি
• মধুর চেয়ে আছে মধুর / সে আমার এই দেশের মাটি, আমার দেশের পথের ধুলা/ খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি।
• জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি দুটি যদি জোটে ফুল কিনে নেও হে অনুরাগী।
• কালো আর ধলো বাহিরে,/ ভিতরে সবারি সমান রাঙা।
• কোন দেশেতে তরুলতা / সকল দেশের চাইতে শ্যামল? কোন দেশেতে চলতে গেলে/ দলতে হয়রে দুর্বা কমল?
• ছিপখান তিন দাড় তিনজন মাল্লা', চৌপর দিন ভর দ্যায় দূর পাল্লা।