কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও পদার্থবিদ। শক্তিশালী লেখনীর মাধ্যমে তিনি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা যুগিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানীর আয়োজিত 'কাগমারী সম্মেলন' এ সভাপতিত্ব করেন।
- কাজী মোতাহার হোসেন ৩০ জুলাই, ১৮৯৭ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে (মাতুলালয়) জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস: বর্তমান রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার বাগমারা গ্রাম।
- তিনি 'মুসলিম সাহিত্য সমাজ' এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং এ সংগঠনের মুখপত্র 'শিখা' পত্রিকার ২য় ও ৩য় সংখ্যার সম্পাদক। সাহিত্য সমাজের নেতৃত্বে পরিচালিত বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
- তিনি 'বাংলা একাডেমি'র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
- তিনি ছিলেন উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু।
- কাজী নজরুল ইসলাম তাকে আদর করে 'মোতিহার' নামে ডাকতেন।
- বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সনজীদা খাতুন তাঁর মেয়ে।
- ১৯৬০ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক 'সিতারা-ই-ইমতিয়াজ', ১৯৬৬ সালে 'বাংলা একাডেমি পুরস্কার', ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি, ১৯৭৯ সালে 'স্বাধীনতা পুরস্কার' লাভ করেন।
- ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে 'জাতীয় অধ্যাপক' হিসেবে সম্মানিত করে।
- তিনি ৯ অক্টোবর, ১৯৮১ সালে মারা যান।
প্র. কাজী মোতাহার হোসেন এর সাহিত্যকর্মসমূহ কী কী?
উ. প্রবন্ধ: 'সঞ্চয়ন' (১৯৩৭): এটি তাঁর প্রথম বিখ্যাত প্রবন্ধ সংকলন। 'নজরুল কাব্য পরিচিতি' (১৯৫৫), 'সেই পথ লক্ষ্য করে' (১৯৫৮), 'সিম্পোজিয়াম' (১৯৬৫), 'গণিত শাস্ত্রের ইতিহাস' (১৯৭০), 'আলোকবিজ্ঞান' (১৯৭৪)।