বিখ্যাত পঙক্তি

  • উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ ভয় নাই, ওরে ভয় নাই - নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই। (পূরবী)
  • বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা - বিপদে আমি না যেন করি ভয়। (গীতাঞ্জলি)
  • এ জগতে হায়, সেই বেশী চায় আছে যার ভুরি ভুরি -রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি। (দুই বিঘা জমি) 
  • আমি শুনে হাসি, আঁখিজলে ভাসি, এই ছিল মোর ঘটে- তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে (দুই বিধা জমি)
  • পরে মাস দেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে- করিল ডিক্রি, সকলই বিক্রি মিথ্যা দেনার খতে। (দুই বিঘা জমি)
  • যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি, এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি। (শেষের কবিতা)
  • মানুষ যা চায় ভুল করে চায়, যা পায় তা চায় না। (মানুষের ধর্ম)
  • যে আছে মাটির কাছাকাছি সে কবির বাণী-লাগি কান পেতে আছি। (জন্মদিনে)
  • তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি। (তোমার সৃষ্টির পথ- শেষলেখা)
  • সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা। (বলাকা) .                   
  • আমি যে দেখেছি গোপন হিংসা কপট রাত্রিছায়ে হেনেছে নিঃসহায়ে,  আমি যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। (প্রশ্ন)
  • এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ, মরণে তাই তুমি করে গেলে দান।
  • আজ হতে শতবর্ষ পরে, কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতূহলভরে। (১৪০০ সাল- চিত্রা)
  • সম্মুখে শান্তি পারাপার ভাসাও ভরী হে কর্ণধার তুমি হবে চিরসাথী লও লও হে ক্রোড়পতি অসীমের পথে জ্বলিবে জ্যোতি ধ্রুবতারার। (এটি কবির সমাধিস্তম্ভে লেখা)
  • মরণরে, তুঁহু মম শ্যাম সমান। (ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী)
  • বাদলা হাওয়ায় মনে পড়ে ছেলে বেলার গান- বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদেয় এলো বান। (বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর)
  • ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, আধ মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা। (সবুজের অভিযান- বলাকা)
  • নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে। ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে। (আষাঢ়)
  • একখানি ছোটো ক্ষেত আমি একেলা। (সোনার তরী)
  • এতকাল নদীকূলে যাহা লয়ে ছিনু ভুলে  সকলি দিলাম তুলে ঘরে বিঘরে- এখন আমারে লহ করুণা করে। (সোনার তরী)
  • গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা। রাশি রাশি ভারা ভারা / ধান কাটা হলো সারা। (সোনার তরী)
  • ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী,    আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি। (সোনার তরী)                    
  • খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে / বনের পাখি ছিল বনে। একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে, কী ছিল বিধাতার মনে।   (দুই পাখি- সোনার তরী)
  • কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে, ভাই ব'লে ডাক যদি দেব গলা টিপে। হেনকালে গগণেতে উঠিলেন চাঁদা- কেরোসিন বলি উঠে, এসো মোর দাদা। (কুটুম্বিতা বিচার- কণিকা)
  • আজি এ প্রভাতে রবির কর কেমনে পশিল প্রাণের পর, কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাত পাখির গান। না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ। (নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ)
  • নমোঃ নমোঃ নমোঃ সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি। (দুই বিঘা জমি)
  • মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। (প্রাণ)
  • হে মোর চিত্ত, পুণ্য তীর্থে জাগো রে ধীরে এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে। (হে মোর চিত্ত, পুণ্য তীর্থে- গীতাঞ্জলি)
  • যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি, এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি। (শেষের কবিতা)
  • ধরাতলে দীনতম ঘরে যদি জন্মে প্রেয়সী আমার, নদীতীরে কোনো এক গ্রাম প্রান্তে প্রচ্ছন্ন কুটিরে অশ্বত্থ ছায়ায়, সে বালিকা বক্ষে তার রাখিবে সঞ্চয় করি সুধার ভাণ্ডার আমারি লাগিয়া সযতনে। (স্বর্গ হইতে বিদায় চিত্রা)
  • ও আমার দেশের মাটি, তোমার 'পরে ঠেকাই মাথা। (দেশাত্মবোধক গান)
  • বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার নয়। (নৈবেদ্য)
  • আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর। (দেশাত্মবোধক গান)
  • বুকের রক্ত দিয়া আমাকে যে একদিন দ্বিতীয় সীতাবিসর্জনের কাহিনী লিখিতে হইবে সে কথা কে জানিত। (হৈমন্তী)
  • যাহা দিলাম তাহা উজাড় করিয়াই দিলাম, এখন ফিরিয়া তাকাইতে গেলে দুঃখ পাইতে হইবে। অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মতো এমন বিড়ম্বনা আর নাই। (হৈমন্তী)
  • এ যে দুর্লভ, এ যে মানবী, ইহার রহস্যের কি অন্ত আছে। (হৈমন্তী)
  • সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ। (হৈমন্তী)
  • হায়রে, তাহার বউমার প্রতি বাবার সেই মধুমাখা পঞ্চস্বর একেবারে এমন বাজখাই নাদে নামিল কেমন করিয়া? (হৈমন্তী)
  • কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই। (জীবিত ও মৃত)
  • একবার নিতান্ত হইল, 'ফিরিয়া যাই, জগতের ক্রোড়বিচ্যুত সেই অনাথিনীকে সঙ্গে করিয়া লইয়া আসি'... জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে, ফিরিয়া ফল কি? পৃথিবীতে কে কাহার? (পোস্টমাস্টার)
  • শিশুরাজ্যে এই মেয়েটি একটি ছোটখাট বর্গির উপদ্রব বলিলেই হয়। (সমাপ্তি)
  • কিন্তু মঙ্গল আলোকে আমার শুভ উৎসব উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। (কাবুলিওয়ালা)
  • মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ। (সভ্যতার সংকট)
  • সমগ্র শরীরকে বঞ্চিত করে কেবল মুখে রক্ত জমলে তাকে স্বাস্থ্য বলা যায় না। (রাশিয়ার চিঠি)
  • আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে। (রাজা)
  • আমরা আরম্ভ করি, শেষ করি না; আড়ম্বর করি, কাজ করি না; যাহা অনুষ্ঠান করি, তাহা বিশ্বাস করি না; যাহা বিশ্বাস করি, তাহা পালন করি না; ভূরি পরিমাণ বাক্য রচনা করিতে পারি, তিল পরিমাণ আত্মত্যাগ 1 করিতে পারি না; আমরা অহংকার দেখাইয়া পরিতৃপ্ত থাকি, যোগ্যতা লাভের চেষ্টা করি না।  (বিদ্যাসাগরচরিত)  

Reference: অগ্রদূত বাংলা