গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ

প্র. শওকত আলীর উপন্যাসসমূহ কী কী?

উ. 'পিঙ্গল আকাশ' (১৯৬৩): এ উপন্যাসে নারীহৃদয়ের আশা-আকাঙ্ক্ষার ও ব্যর্থতার পরিচয় ফুটে উঠেছে।

'যাত্রা' (১৯৭৬): এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস। কেন্দ্রীয় চরিত্র: অধ্যাপক রায়হান।

'প্রদোষে প্রাকৃতজন' (১৯৮৪): সেন রাজাদের রাজত্বকাল এবং তুর্কি আক্রমণের সমকালীন পটভূমিতে এর কাহিনী বিস্তৃত। অত্যাচারী সামন্তবর্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে অন্ত্যজ হিন্দু ও বৌদ্ধদের দল। সামাজিক বৈষম্য, অর্থনৈতিক টানাপোড়েন বিশেষ করে আর্য ও অনার্য মানুষের মধ্যে পারস্পরিক অসাম্য এ উপন্যাসের বিষয়।

কুলায় কালস্রোত (১৯৮৬): রাখী নামের শিক্ষিত নারীর রাজনৈতিক টানাপোড়েনে ক্ষতবিক্ষত ব্যক্তিজীবন এবং মুক্তির সন্ধানে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও যাত্রা। ১৯৬৫-৬৯ সালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিজীবনের বিপর্যয় depicted হয়েছে।

দক্ষিণায়নের দিন (১৯৮৫), পূর্বরাত্রি পূর্বদিন (১৯৮৬), যেতে চাই (১৯৮৮), বাসর মধুচন্দ্রিমা (১৯৯০), হিসাব-নিকাশ (১৯৯৮), দলিল (২০০১), উত্তরের ছাপ (২০০২), বসত, স্থায়ী ঠিকানা, কোথায় আমার ঘরবাড়ি, ত্রিপদী, দুই রকম, পতন, ভিতরগড়ের তিন মূর্তি (কিশোর উপন্যাস)।

ওয়ারিশ (১৯৮৯): মানব সভ্যতার ইতিহাস ও ক্রমবিকাশ রজু চরিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

উত্তরের খেপ (১৯৯২): ট্রাক ড্রাইভার বাবা ও বিহারী মায়ের সন্তান হায়দারের সাথে বড়লোকের নাতনি মরিয়মের বিয়ে এবং পরবর্তীতে কুচক্রীর সাথে মরিয়মের দ্বিতীয় বিয়ে ও মিঠুর আগমন নিয়ে কাহিনী। গ্রামীণ বাস্তবতার উজ্জ্বল চিত্র এই উপন্যাসে বিদ্যমান।

নাড়াই (২০০৩): তেভাগা আন্দোলনকেন্দ্রিক উত্তরবঙ্গের আঞ্চলিক ভাষার উপন্যাস। ফুলমতি নামের এক অল্পবয়সী বিধবা মায়ের জীবনসংগ্রাম এবং দরিদ্র কৃষকের লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি এখানে দেখানো হয়েছে।

গল্প: উন্মুল বাসনা (১৯৬৮), লেলিহান স্বাদ (১৯৭৮), শুন হে লক্ষিন্দর (১৯৮৮), বাবা আপনে যান (১৯৯৪)

শওকত আলীর ত্রয়ী উপন্যাস:

  • দক্ষিণায়নের দিন, কুলায় কালস্রোত, পূর্বরাত্রি পূর্বদিন - এই তিনটি উপন্যাসকে একত্রে শওকত আলীর ত্রয়ী উপন্যাস বলা হয়।
Reference: অগ্রদূত বাংলা