স্বরবর্ণ

'অ'

  • 'অ' বর্ণের উচ্চারণ দুই রকম। যথা: (অ) এবং (ও)। সাধারণ উচ্চারণ (অ), কিন্তু পাশের ধ্বনির প্রভাবে (অ) কখনো কখনো [ও]-এর মতো উচ্চারিত হয়।
  • 'অ' বর্ণের স্বাভাবিক উচ্চারণ: অনেক (অনেক্), কথা (কথা), অনাথ (অনাথ)।
  • 'অ' বর্ণের [৩] উচ্চারণ: অতি (ওতি), অণু (ওনু), পক্ষ (পোক্কো), অদ্য (ওদো), মন (মন)।

  • 'আ' বর্ণের স্বাভাবিক উচ্চারণ [আ]: আকাশ (আকাশ্), রাত (রাত্), আলো (আলো)।
  • [আ] জ-এর সঙ্গে থাকলে [অ্যা]-এর মতো উচ্চারিত হয়। যেমন: জ্ঞান (গ্যান), জ্ঞাত (গ্যাঁতো), জ্ঞাপন (গ্যাঁপোন্‌)।

ই, ঈ

  • [ই] ধ্বনির হ্রস্বতা ও দীর্ঘতা বোঝাতে দুটি বর্ণ রয়েছে। যথা: ই এবং ঈ। কিন্তু বাংলা ভাষায় উভয় বর্ণের উচ্চারণ একই। যেমন: দিন (দিন), দীন [দিনো], বিনা (বিনা), বীণা (বিনা), হীন [হিনো]।

উ, ঊ

  • (উ) ধ্বনির হ্রস্বতা ও দীর্ঘতা বোঝাতে দুটি বর্ণ রয়েছে। যথা: উ এবং ঊ। এদের মধ্যে প্রথমটির উচ্চারণ হ্রস্ব এবং দ্বিতীয়টির উচ্চারণ দীর্ঘ হয়।
  • (ঊ) ধ্বনির হ্রস্বতা ও দীর্ঘতা বোঝাতে দুটি বর্ণ রয়েছে। যথা: উ এবং ঊ। কিন্তু বাংলা ভাষায় উভয় বর্ণের উচ্চারণ একই রকম। যেমন: উচিত (উচিৎ), ঊষা [উশা], উনিশ (উনিশ), ঊনবিংশ (উনোবিংশ)।

  • ‘ঋ’ বর্ণের উচ্চারণ (রি)-এর মতো। যেমন: ঋতু (রিতু), ঋণ [রিন], কৃষক (ক্রিশক), দৃশ্য (দ্রিশ্শো)।

  • ‘এ’ বর্ণের উচ্চারণ দুই রকম। যথা: এ এবং অ্যা। সাধারণ উচ্চারণ (এ), কিন্তু পাশের ধ্বনির প্রভাবে ‘এ’ কখনো কখনো অ্যা’ উচ্চারিত হয়।
  • ‘এ’ বর্ণের স্বাভাবিক উচ্চারণ: একটি (একটি), দেশ (দেশ), এলো [এলো]।
  • ‘এ’ বর্ণের (অ্যা) উচ্চারণ: একটা [অ্যাকটা], বেলা (ব্যালা), খেলা (খ্যালা)।

  • ঐ: ‘ঐ’ বর্ণের উচ্চারণ (ওই): ঐকিক [ওইকিক্], তৈল (তোইলো)।

  • ‘ও’ বর্ণের উচ্চারণ [ও]: ওল (ওল), বোধ [বোধ]।

  • ‘ঔ’ বর্ণের উচ্চারণ (ওউ): ঔষধ (ওউশধ), মৌমাছি (মোউমাছি)।

 

 

Reference: অগ্রদূত বাংলা