অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয়

বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদ রূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলে। যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসে শব্দটিকে বাক্যের সাথে সম্পর্কিত করে, সেসব শব্দকে অনুসর্গ বলে। যেমন: সে কাজ ছাড়া কিছুই বোঝে না (বাক্যটিতে 'ছাড়া' একটি অনুসর্গ)। কোন পর্যন্ত পড়েছ? (বাক্যটিতে 'পর্যন্ত' একটি অনুসর্গ)।  

 

প্র. অনুসর্গ কোথায় বসে?

উ. অনুসর্গগুলো কখনো প্রাতিপদিকের পরে ব্যবহৃত হয়, আবার কখনো বা 'কে' এবং 'র' বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে বসে। যেমন:

  • বিনা: দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে? (প্রাতিপদিকের পরে)
  • সনে: ময়ূরীর সনে নাচিছে ময়ূর। (ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে)
  • দিয়ে: তোমাকে দিয়ে আমার চলবে না। তোমাকে দিয়ে এ কাজ অসম্ভব। (দ্বিতীয়ার 'কে' বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে)।
  • জন্যে: সে পরীক্ষার জন্য পড়ছে। (ষষ্ঠীর 'র' বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে)।

✓ শব্দের আগে বসে উপসর্গ।

✓ শব্দের পরে বসে অনুসর্গ, প্রত্যয়, বিভক্তি, পদাশ্রিত নির্দেশক।

 অনুসর্গকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: 

  • সাধারণ অনুসর্গ ও
  • ক্রিয়াজাত অনুসর্গ।
Reference: অগ্রদূত বাংলা