ক্রিয়াপদ

বাক্যে যে পদ দ্বারা কোনো কিছু করা, ঘটা, হওয়া, যাওয়া অর্থাৎ কোনো কার্য সম্পাদন বোঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে। যে পদের দ্বারা কোনো কার্য সম্পাদন করা বোঝায়, তাকেই ক্রিয়াপদ বলে। বাক্যে উদ্দেশ্য বা কর্তা কী করে বা কর্তার কী ঘটে বা হয়, তা নির্দেশ করা হয় যে পদ দিয়ে তাকে ক্রিয়া বলে। 

যেমন: আমি ভাত খাই। রাজীব খেলছে। বৃষ্টি হতে পারে। কবির বই পড়ছে। তোমরা আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে।

ক্রিয়াপদের গঠন: ত্রিয়ামূল বা ধাতুর সাথে পুরুষ অনুযায়ী কালসূচক ক্রিয়াবিভক্তি যোগ করে ক্রিয়াপদ গঠন করতে হয়। যেমন: পড়ছে (এখানে পড় ‘ধাতু’ ও ‘ছে’ বিভক্তি), পড়+ই = পড়ি, পড়+এ = পড়ে, পড়+বে = পড়বে।

ক্রিয়ার রূপভেদ: পক্ষ (পুরুষ) এবং কালভেদে ক্রিয়ার রূপভেদ হয়। যেমন:

  • পক্ষভেদ: আমি পড়ি, আমরা পড়ি, তুমি পড়ো, তোমরা পড়ো, সে পড়ে, তারা পড়ে।
  • কালভেদ: আমি পড়ি, আমি পড়ছি, আমি পড়েছি, আমি পড়েছিলাম, আমি পড়ছিলাম, আমি পড়ব।

অনুক্ত ক্রিয়াপদ: ক্রিয়াপদ বাক্যগঠনের অপরিহার্য অঙ্গ। ক্রিয়াপদ ভিন্ন কোনো মনোভাবই সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করা যায় না। তবে বাক্যে কখনো কখনো ক্রিয়াপদ উহ্য থাকে, যাকে অনুক্ত ক্রিয়াপদ বলে। 

যেমন: ইনি আমার ভাই = ইনি আমার ভাই (হন)। আজ প্রচণ্ড গরম = আজ প্রচণ্ড গরম (অনুভূত হয়)। তোমার মা কেমন? = তোমার মা কেমন (আছেন)।

Reference: অগ্রদূত বাংলা