বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের পরে আ- আনো প্রত্যয়যোগে যেসব ধাতু (ক্রিয়া) গঠিত হয়, সেগুলোকে নামক্রিয়া (নামধাতু) বলে।
যেমন: বেত (বিশেষ্য) + আ (প্রত্যয়) = বেতা (নামধাতু)। শিক্ষক ছাত্রটিকে বেতাচ্ছেন (নামধাতুর ক্রিয়াপদ)। বাঁকা (বিশেষণ) + আ (প্রত্যয়) = বাঁকা (নামধাতু)। কঞ্চিটি বাঁকিয়ে ধর (নামধাতুর ক্রিয়াপদ)। দাঁতটি ব্যথায় কনকনাচ্ছে (ধ্বন্যাত্মক অব্যয়)। অজগরটি ফোঁসাচ্ছে। আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় (চমক+আনো=চমকানো)। বাজারে সবজির দাম কমছে (কম+আ=কমা) না। জবাই করা মুরগি উঠানে ছটফটায় (ছটফট+আনো=ছটফটানো)।
আ-প্রত্যয় যুক্ত না হয়েও কয়েকটি নামধাতু বাংলা ভাষার মৌলিক ধাতুর মত ব্যবহৃত হয়। যেমন: