যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকেই কর্মকারক বলে। ক্রিয়ার বিষয়কে কর্ম বলে।
কর্মকারক ২ প্রকার। যথা:
সাধারণত মুখ্য কর্মকারকে বিভক্তি হয় না, তবে গৌণ কর্মকারকে ‘কে’ বিভক্তি যুক্ত হয়। মুখ্য কর্ম বস্তুবাচক এবং গৌণ কর্ম প্রাণীবাচক হয়। যেমন: বাবা আমাকে (গৌণ কর্ম) একটি কলম (মুখ্য কর্ম) কিনে দিয়েছেন।
ক্রিয়াকে ‘কি বা কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটাই কর্মকারক। যেমন: নাসিমা ফুল তুলছে। (এখানে যদি প্রশ্ন করা হয়, নাসিমা কি তুলছে? তাহলে উত্তর হবে- ফুল। এখানে ‘ফুল’ হলো কর্মকারক।)
- সে রোজ সকালে এক প্লেট ভাত খায়।
- অসহায়কে সাহায্য করো।
- শিক্ষককে জানাও।
- বেগম রোকেয়া সমাজের নানা রকম অন্ধতা, গোঁড়ামি ও কুসংস্কারকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে গেছেন।
কর্মকারকের প্রকারভেদ। যথা:
- সকর্মক ক্রিয়ার কর্ম: প্রিয়া ফুল তুলছে।
- প্রযোজক ক্রিয়ার কর্ম: ছেলেটিকে বিছানায় শোয়াও।
- সমধাতুজ কর্ম: খুব এক ঘুম ঘুমিয়েছি।
- উদ্দেশ্য ও বিধেয় কর্ম: দুধকে (উদ্দেশ্য কর্ম) মোরা দুগ্ধ (বিধেয় কর্ম) বলি, হলুদকে (উদ্দেশ্য কর্ম) বলি হরিদ্রা (বিধেয় কর্ম)।
কর্মকারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার:
- প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তি: ডাক্তার ডাক। আমাকে একখানা বই দাও (দ্বিকর্মক ক্রিয়ার মুখ্য কর্ম)। রবীন্দ্রনাথ পড়লাম, নজরুল পড়লাম, এর সুরাহা খুঁজে পেলাম না। জল পড়ে, পাতা নড়ে।
- দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি: তাকে বল। রিয়াকে ডাক।
- দ্বিতীয়া বা রে- বিভক্তি: ‘আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা।’
- ষষ্ঠী বা র- বিভক্তি: তোমার দেখা পেলাম না। আমাদের একটা গল্প বলুন।
- সপ্তমীর এ- বিভক্তি: ‘জিজ্ঞাসিব জনে জনে।’ গুণহীনে ত্যাগ কর।