‘করণ’ শব্দটির অর্থ যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। কর্তা যা দ্বারা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ কারক বলে। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলে। যার 1 দ্বারা বা যে উপায়ে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ কারক বলে। এ কারকে সাধারণত ‘দ্বারা’, ‘দিয়ে’, ‘কর্তৃক’ ইত্যাদি অনুসর্গ যুক্ত হয়। যেমন— নীরা কলম দিয়ে লেখে (উপকরণ- কলম)।
ক্রিয়াপদকে ‘কিসের দ্বারা’ বা ‘কি উপায়ে’ প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তাই করণ কারক।
করণ কারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার:
ক. প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তি: ছাত্ররা বল খেলে (অকর্মক ক্রিয়া)। ডাকাতেরা গৃহস্বামীর মাথায় লাঠি মেরেছে (সকর্মক ক্রিয়া)।
খ. তৃতীয়া বা দ্বারা বিভক্তি: লাঙ্গল দ্বারা জমি চাষ করা হয়।
গ. তৃতীয়া বা দিয়া বিভক্তি: মন দিয়া কর সবে বিদ্যা উপার্জন।
ঘ. সপ্তমীর এ- বিভক্তি: ফুলে ফুলে ঘর ভরেছে। শিকারি বিড়াল গোঁফে চেনা যায়।
ঙ. সপ্তমীর তে- বিভক্তি: ‘এত শঠতা, এত যে ব্যথা/ তবু যেন মধুতে মাখা।’ লোকটা জাতিতে বৈষ্ণব।
চ. সপ্তমীর য়- বিভক্তি: চেষ্টায় সব হয়। এ সুতায় কাপড় হয় না।