বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্টতা বা অর্থ-বিভাগ দেখাবার জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন, সেখানে কমা ব্যবহৃত হয়। যেমন: সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে।
পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত একাধিক বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ একসঙ্গে বসলে শেষ পদটি ছাড়া বাকি সবগুলোর পরই কমা বসবে। যেমন: সুখ, দুঃখ, আশা, নৈরাশ্য একই মালিকার পুষ্প।
সম্বোধনের পরে কমা বসাতে হয়। যেমন: রশিদ, এখানে আস।
মাসের তারিখ লিখতে বার ও মাসের পর কমা বসবে। যেমন- ১৬ই পৌষ, বুধবার, ১৩৯০ বঙ্গাব্দ।
উদ্ধরণ চিহ্নের পূর্বে (খণ্ড বাক্যের শেষে) কমা বসাতে হবে। যেমন: অধ্যক্ষ বললেন, "ছুটি পাবেন না।"
বাড়ি বা রাস্তার নম্বরের পরে কমা বসে। যেমন: ৬৫, নবাবপুর রোড, ঢাকা।
জটিল বাক্যের অন্তর্গত প্রত্যেক খণ্ডবাক্যের পরে কমা বসবে। যেমন: কাল যে লোকটি এসেছিল, সে আমার পূর্ব পরিচিত।
নামের পরে ডিগ্রীসূচক পরিচয় সংযোজিত হলে সেগুলোর প্রত্যেকটির পরে কমা বসবে। যেমন: ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক, এম,এ, পি-এইচ,ডি।
শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কমার ব্যবহার হয়। যেমন: গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত- বাংলাদেশ এই ছয়টি ঋতুর দেশ। নিবিড় অধ্যাবসায়, কঠোর পরিশ্রম ও সময়নিষ্ঠ থাকলে সাফল্য আসবে। সুজন, দেখ তো কে এসেছে। কাল তুমি যাকে দেখেছ, তিনি আমার বাবা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, "পাপকে ঠেকাবার জন্যে কিছু না করাই তো পাপ।"