১. প্রত্যক্ষ উক্তিতে বক্তার বক্তব্যটুকু উদ্ধরণ চিহ্নের (" ") অন্তর্ভুক্ত থাকে। পরোক্ষ উক্তিতে উদ্ধরণ চিহ্ন লোপ পায়। প্রথম উদ্ধরণ চিহ্ন স্থানে 'যে' এই সংযোজক অব্যয়টি ব্যবহার করতে হয়। বাক্যের সঙ্গতি রক্ষার জন্য উক্তিতে ব্যবহৃত বক্তার পুরুষের পরিবর্তন করতে হয়। যেমন:
প্রত্যক্ষ উক্তি: খোকা বলল, "আমার বাবা বাড়ি নেই।"
পরোক্ষ উক্তি: খোকা বলল যে, তার বাবা বাড়ি ছিলেন না।
২. বাক্যের অর্থ সঙ্গতি রক্ষার জন্য সর্বনামের পরিবর্তন করতে হয়। যেমন:
প্রত্যক্ষ উক্তি: রশিদ বলল, "আমার ভাই আজই ঢাকা যাচ্ছেন।"
পরোক্ষ উক্তি: রশিদ বলল যে, তার ভাই সেদিনই ঢাকা যাচ্ছিলেন।
৩. প্রত্যক্ষ উক্তির কালবাচক পদকে পরোক্ষ উক্তিতে অর্থ অনুসারে পরিবর্তন করতে হয়। যেমন:
প্রত্যক্ষ উক্তি: শিক্ষক বললেন, "কাল তোমাদের ছুটি থাকবে।"
পরোক্ষ উক্তি: শিক্ষক বললেন যে, পরদিন আমাদের ছুটি থাকবে।
৪. প্রত্যক্ষ উক্তির বাক্যের সর্বনাম এবং কালসূচক শব্দের পরোক্ষ উক্তিতে নিম্নলিখিত পরিবর্তন সংঘটিত হয়:
প্রত্যক্ষ
পরোক্ষ
আজ
সে দিন
গত কাল
আগের দিন/গত কাল্য
আগামী কাল
পরদিন
এই
সে/এই
ইহা
তাহা
এখানে
ওখানে/সেখানে
এখন
তখন
৫. অর্থ-সঙ্গতি রক্ষার জন্য পরোক্ষ উক্তিতে ক্রিয়াপদের পরিবর্তন হতে পারে। যেমন:
প্রত্যক্ষ উক্তি: রহমান বলল, "আমি এক্ষুণি আসছি।"
পরোক্ষ উক্তি: রহমান বলল যে, সে তক্ষুণি যাচ্ছে।
৬. আশ্রিত খণ্ডবাক্যের ক্রিয়ার কাল পরোক্ষ উক্তিতে সব সময় মূল বাক্যাংশের ক্রিয়ার কালের ওপর নির্ভর করে না। যেমন:
প্রত্যক্ষ উক্তি: ছেলে লিখেছিল, "শহরে খুব গরম পড়েছে।"
পরোক্ষ উক্তি: ছেলে লিখেছিল যে, শহরে খুব গরম পড়েছিল/ছেলে লিখেছিল শহরে খুব গরম পড়েছে।