অর্থের শ্রেণিবিভাগ

শব্দের অর্থ অন্তত দুই রকমের। কোথাও শব্দের গাঠনিক উপাদানগুলোর অর্থ প্রাধান্য পায়, আবার কোথাও গাঠনিক অর্থ ছাপিয়ে শব্দের ভিন্ন অর্থ তৈরি হয়। এই দুই ধরনের অর্থের নাম- 

  • বাচ্যার্থ 
  • লক্ষ্যার্থ।

বাচ্যার্থ: একটি শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মনে যে ছবি বা বোধ জেগে ওঠে, সেটাই শব্দটির বাচ্যার্থ। অভিধানে অর্থ গ্রহণের বেলায় শব্দের বাচ্যার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। 'মাথা' শব্দটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গের যে ছবি মনে ভেসে ওঠে, তা-ই 'মাথা' শব্দের বাচ্যার্থ। বাচ্যার্থ হলো শব্দের মুখ্য অর্থ। এই অর্থকে আক্ষরিক অর্থও বলা হয়ে থাকে।  

লক্ষ্যার্থ: বক্তা তার উদ্দেশ্য অনুযায়ী বাচ্যার্থকে উপেক্ষা করে শব্দের আলাদা অর্থ তৈরি করে নিতে পারে। এই আলাদা অর্থের নাম লক্ষ্যার্থ। যেমন: 'তিনি গ্রামের মাথা'- এখানে 'মাথা' শব্দ শোনার পরে শ্রোতার মনে শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গের কোনো ছবি ভেসে ওঠে না, মাননীয় কোনো ব্যক্তির ছবি ভেসে ওঠে। লক্ষ্যার্থকে গৌণার্থ বা লাক্ষণিক অর্থ বলা হয়ে থাকে।

Reference: