মূল্যবোধ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
- মূল্যবোধ মানব আচরণের অলিখিত দলিল।
- মূল্যবোধের ধারণা সহজাত নয় বরং অর্জিত।
- মানুষের শুভবুদ্ধির ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন ঘটায় মূল্যবোধ।
- মানুষের আচার-ব্যবহার, ধ্যান-ধারণা, চাল-চলন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করার মাপকাঠি হলো-মূল্যবোধ।
- মূল্যবোধের ধারণা একটি- বিমূর্ত ও আদর্শিক ধারণা।
- মূল্যবোধের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য- পরিবর্তনশীলতা, সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজের মূল্যবোধগুলোরও পরিবর্তন সাধিত হয়।
- মূল্যবোধের পরিমাপের নির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ড নেই, তবে উৎকৃষ্ট সমাজ পরিমাপের অন্যতম মানদণ্ড স্বরূপ।
- ব্যক্তিগত মূল্যবোধ সামাজিক মূল্যবোধকে লালন করে।
- মানুষের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে- মূল্যবোধ।
- রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাব।
- মূল্যবোধ সমাজভেদে ভিন্ন ভিন্ন হলেও কিছু কিছু মূল্যবোধ-চিরন্তন বা সর্বজনীন। যেমন: সত্য, ন্যায়, সুন্দর, ইত্যাদি।
- মূল্যবোধ গড়ে উঠার পেছনে উৎস ভূমি হিসেবে যেসব বিষয় সহায়ক ভূমিকা পালন করে সেগুলো হলো- পরিবার, ধর্ম, সামাজিক রীতিনীতি, প্রথা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আইন, নীতিবোধের চর্চা, সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান, সভা-সমিতি, সামাজিক ন্যায়বিচার ইত্যাদি।
- শিশুর মূল্যবোধ শিক্ষার প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র- পরিবার।
- প্রাথমিকভাবে পরিবারেই একজন মানুষের মানবীয় গুণাবলি ও সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে।
- মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ বিকাশে সর্বাপেক্ষা বেশি প্রভাব বিস্তার করে ধর্ম।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ১২নং অনুচ্ছেদে- ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তার বিধান রয়েছে।
- সামাজিক মূল্যবোধের প্রধানতম উৎসসমূহ হলো- প্রচলিত সামাজিক রীতিনীতি, প্রথা, ধ্যান ধারণা, ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি।
- মানুষের রাষ্ট্রীয় জীবনে মূল্যবোধ গঠনের দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করে- সংবিধান।
- মূল্যবোধের চালিকা শক্তি হচ্ছে- সংস্কৃতি।
- সাংস্কৃতিক মূল্যবোধগুলো বেশি পরিমাণে উদ্ভূত হয়- সামাজিক প্রথা থেকে।
- নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণ করে- আইনের শাসন।
- মূল্যবোধের ধারণা আপেক্ষিক।
- মূল্যবোধের ভিত্তি ১০টি। যথা-
- নীতি ও ঔচিত্যবোধ
- ন্যায়বিচার
- শৃঙ্খলাবোধ
- সৃজনশীলতা
- সহমর্মিতা
- শ্রমের মর্যাদা
- আইনের শাসন
- সচেতনতা ও কর্তব্য
- জবাবদিহিতা
- সরকার ও রাষ্ট্রের জনকল্যাণমুখিতা।
- মূল্যবোধের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো- নীতি ও ঔচিত্যবোধ।
- গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পরমতসহিষ্ণুতা।
- নৈতিকতা বা ঔচিত্যবোধের মূলভিত্তি ভূমি হলো- বিবেক, আর বিকাশ ভূমি হলো- সমাজ।
- বিবেকের বাণী হিসেবে অভিহিত করা হয়- নীতি ও ঔচিত্যবোধকে।
- সমাজ জীবনে অগ্রগতি উন্নয়নের প্রধান ভিত্তি বা উপাদান হচ্ছে- শৃঙ্খলাবোধ।
- মানবিক গুণাবলির মধ্যে শ্রেষ্ঠতম গুণ হিসেবে বিবেচিত- সহনশীলতা।
- সহমর্মিতার মূল বক্তব্য হচ্ছে- সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা-পরের তরে।
- শ্রমের মর্যাদা হলো মানবিক ও সামাজিক গুণ।
- সামাজিক ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না হলে, সমাজে মূল্যবোধের অনুশীলন স্তিমিত হয়ে পড়ে।
- সামাজিক সংহতিকে সুসংগত করে - পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।
- বাংলাদেশ সংবিধানে জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ করা হয়েছে - ৩৪নং অনুচ্ছেদে।
- গ্রহণ ও শ্রদ্ধার শিক্ষাকে বলে - আত্মসংযম।
- সার্বিকভাবে মূল্যবোধকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে - ইতিবাচক মূল্যবোধ ও নেতিবাচক মূল্যবোধ।
- নেতিবাচক মূল্যবোধের অন্য নাম - মূল্যবোধের অবক্ষয়।
- মানবমনের সুকোমল বৃত্তি প্রকাশের মূল্যবোধ - নান্দনিক মূল্যবোধ।
- সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য - গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ।
- মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে - নৈতিক মূল্যবোধ।
- আইনের শাসনকে শক্তিশালী করে - গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ।
- গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করে - আইনের শাসন।
Reference: BCS CONCISE SERIES ভূগোল ও নৈতিকতা